একদা এক গাঁয়ে
        সে আসতো পায়ে পায়ে
ঘুঙুর বাজে রিনিক ঝিনিক
        ফাগুন দোলা বায়ে।

প্রজাপতি নাচে
        তার চুলের কাছে কাছে
ভরা নদীর উছল ঢেউয়ে
        খিলখিলিয়ে হাসে।

কি যেন তার নাম
        ছিল দখিন মুখি ধাম
সুর শোনাতো পাতার বাঁশি
        মায়ায় ঢাকা গ্রাম।

কথার যাদু জানা
        তার হাতও পাখির ডানা
দুলকি চালে উড়তো কেবল
        থামতে ছিল মানা।

একটুও না ভুল
        তার আঁচল ভরা কুল
দেবদারু বন ছায়ায় ঘেরা
        পদ্ম পাতার ফুল।

একদা এক বেলা
        সে অন্তরে দেয় দোলা
জলতরঙ্গ আঁচলের ছাপ
        গহন কোণে তোলা।

একদা এক গাঁয়ে
        সে আসতো পায়ে পায়ে।

ফিরোজ, মগবাজার, ২০/১১/২০২৪