কিবা চেয়েছি, আর কি চাই-
এক টুকরো অধিকার?
অহম চূড়ায় ফণা তোল তুমি, ঢেলে দাও বিষ
আরো আরোও মনোবিকার!
জমিনে ওঠে রক্তের ঢেউ, লালে লাল পিচ ঢালা পথ
তাজা তাজা খুনে ভিজে যায় মাটি-
তপ্ত চাতাল, মায়ের বুকের উঠোন;
বাকরুদ্ধ মজলুম মাতাপিতা, স্তম্ভিত হতবাক
হিমালয় সম পাথর বেঁধেছে বুকে
চুপ চুপ চুপ …
নিথর শোকে, কাঁদে নাকো আর এখন!
“বুক বরাবরে উর্দির হাতে ট্রিগারে পড়ে টান”;
গুলির আঘাতে যায় ঝরে যায় শত শত তাজা প্রাণ।
জালিমের হাতে
জুলুমের যত কেন্দ্র গড়েছো, নয়কো সেসব-
এ মাটির কোন অংশ;
পাথর কেন বারুদ হয় নাকো?
বারুদে বারুদে জ্বলে পুড়ে হোক ধ্বংস।
সে উর্দি - সে হাত এ মাটির হতে পারে নাকো
ওরা নিপীড়ক, ওরা অত্যাচারী
ওরা ভিন দেশী - করে যায় শুধু ক্ষয়;
এ মাটি ভিজেছে খুনে, যার ইশারায় রক্তিম হয়েছে দেশ
নয় সে আপন, কেউ নয় এ মাটির
এ দেশের কিছু নয় …!
মায়ের বক্ষ খামচে ধরেছে শকুনি, পিশাচের হাত
রক্ত নেশায় মেতে উঠেছে তারা;
জেগে ওঠো, জেগে ওঠো …!
এ মায়ের বুকে এখনো ঘুমানো যারা।
সাফ করো, সাফ করো আজ ধুয়ে মুছে সব
যত অপরাধ, আগাছা জঞ্জাল-
যত আছে বিভীষিকা;
পতপত করে বাতাসে ভাসাও, আকাশে উড়াও আবার
ঐ লাল সবুজের পতাকা।
ফিরোজ, মগবাজার, ১৯/০৭/২০২৪