তুমি এসেছিলে বাংলা মায়ের ঘরে-
সমতা উদারতা আর-বুকেতে সাহস ভরে।
বুক ফুলিয়ে চলেছো তুমি-অন্যায়ের প্রতিবাদ করে।
মনেতে রেখেছ পন;
"অন্যায়কে করব না আপন-
যায় প্রান যাব মরে"
তোমার ডাকে সাড়া দিয়ে-বাঙালি ঢাল তলোয়ার ধরে,
এল ময়দানেতে প্রাণ শপিলো দেশের তরে।
দীর্ঘ নয়টি মাস ধরে-রক্ত ক্ষরণ করে,
রক্তিম সূর্যের সোনালী আভা-এলো বাঙালির ধারে।
তখনো ছিলে তুমি ঘরে-বাঙালির প্রাণে হাত ধরে,
চার বর্ষ পড়ে মোদের এতিম করে,
নিষ্ঠুর ঘাতক নিল তোমায় কেড়ে।
তেতাল্লিশ বর্ষ পরে-আজও তোমায় মনে পড়ে,
হৃদয় কাতর করে-দুচোখে অশ্রু ঝরে।
জানি তুমি আর আসবে না ফিরে,
তবু তোমায় খুঁজে পাই-হাজারো মানুষের ভিড়ে।
জানি তুমি আর আসবে না ফিরে,
তবু তোমায় খুঁজে পাই-প্রতিটি বাঙালির নীড়ে।
খুঁজে পাই কৃষাণ-কৃষাণীর ঘরে
ফসলের মাঠে প্রান্তরে,
নদীর তীরে তীরে-
জেলে মাঝির অন্তরে।
খুঁজে পাই,খুঁজে পাই-নদ নদীর কিনারে, যেথা বাংলার বধু হাড়িতে জল ভরে।
তোমায় খুঁজে পাই হাট বাজার কিংবা স্টেশনের ধারে,
যেথা কুলি মজুর ভার বহে নিজে ঘাড়ে।
তোমায় খুজে পাই শিক্ষা প্রদান ঘরে,
শিক্ষক-শিক্ষিকা,শিক্ষার্থীর অন্তরে।
খুঁজে পাই অফিস-আদালত,
কোর্ট-কাচারি ও জাতীয় সংসদ ঘরে।
শুধু বাংলার মাঝেই নয়-
খুঁজে পাই বিশ্বের দরবারে।
তুমি ছিলে-তুমি আছো,
তুমি থাকবে সকলের অন্তরে।
তাই তো বলেন কবি-সব বর্ণনা করে;
"যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা যমুনা গৌরি বহমান-
ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।"
আজ তারই প্রতিধ্বনি করে-
শামীম আকন্দ আবৃতি করে;
"যতদিন রবে পাতাল মাটি উপরে সুনিল আসমান-
ততদিন রবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান!"