হ্যালো শ্যামাঙ্গনী
দীর্ঘ তনুমন, পুষ্পিত আঁখিযুগল
গায়ে গায়ে ছায়া দিয়ে আছে
কায়াহীন বৃক্ষরাজি।
যদি বলি ওই মুদ্রিত নেত্রে লুকিয়ে আছে
আলোকিত পৃথিবী, মায়াময় শান্তির নীলিমা
হারিযে যাওয়া ফুলেল সন্ধ্যা-
আমি বলি, ওখানে আছে
সবুজ বৃক্ষরাজি।
বছর গণনা যখন শুরু হলো
হারিয়ে ফেলা যৌবন যখন ধরা গেল
জীবন বসন্ত যখন সৌরভ ছড়ালো
ওই নেত্রযুগল তখনো ছবি এঁকে চললো-
গ্রাম আর গ্রাম, বনানীঘেরা শ্যামলিমা ভেসে ওঠে
যেখানে আমরা লুকিয়ে থাকলেও
কেউ খুঁজে পাবে না কোনদিন
ইট গাথা ওই পাষাণ চুঁড়াগুলো দেবে না অট্টহাসি
হলদে রোদে পুড়বে না আমাদের মায়াভরা কায়া।
শ্যামাঙ্গনী, তোমাকে সেই শৈশবে যখন দেখি
মনে পড়ে যায় লকিয়ে ওঠা বৃক্ষের কথা
আপন মনে যে দাঁড়িয়ে যায়
ফুলে ফলে হৃদয় ভরে যায়
অবিরাম বায়ুমাখা ছায়া দিয়ে যায়
উড়িয়ে নিয়ে যায় ব্যথা-বেদনা, কালিমারেখা।
শ্যামাঙ্গনী, তোমার হৃদোত্তাপ এক সময় শীতল হয়
বৃক্ষরাজি তোমায় কাছে টেনে নেয়-
যেখানে আমরা কখনো পৌঁছি না।