আমি কোথায় যেন আমার শৈশবের ঈদটাকে হারিয়ে ফেলেছি!
প্রতিবছরই যখন ঈদ আসে,
মনে হয় এবার বুঝি ফিরে পাবো সেই হারিয়ে যাওয়া শৈশবের ঈদ!
কিন্তু নাহ! সেই ঈদ আর আসে না।
কিভাবে হারিয়ে ফেললাম, সেটাও তো জানি না।
বিস্মৃতির স্মৃতির দিকে তাকালে এখনো মনে পড়ে,বাবার দেয়া স্যন্ডো গ্যাঞ্জি,
সেই মোগল স্যান্ডেল,
মায়ের শিপন শাড়ি দিয়ে বানানো পাঞ্জাবি,
কখনো বা চাচার দেয়া জামা-কাপড়ের ভিতর থেকে "চাঁদ রাতে"র আনন্দ দিতো আমাদের ঈদ!
রকমারি খাবার,বড়দের আদর-মাখা সালামী, দশ-বারোটা,দুই-পাঁচ টাকার নোট! সেখান থেকে বেরুতে থাকে, সীমাহীন প্রাপ্তির আনন্দ।
দল বেঁধে ঈদগাহে যাবার আনন্দ,কগুজে খেলনা আর মণ্ডা-মিঠাই কেনার আনন্দ,বাঁশের বাঁশি বাজিয়ে
কান ঝালাপালা কিরা আনন্দ।
আজও ঈদ আসে, কিন্তু সেই হারানো ঈদ আর আসে না।
ঈদের দিন-ক্ষণ ঘনিয়ে এলে মন আর নাচে না।
মনের কোথায় যেন কষ্টের তীর বিধতে থাকে।অনুভবের মাত্রা অতিক্রম করে যখন অনুভুতির দেয়াল ভেদ করে যায়,
কেমন যেন অবশ,অবশ লাগে।
এখন বহু আগে থেকেই বড় বড় বীপণীতে ঈদের হাট বসে।
কিন্তু, ওখানে কেউ কেউ যেতে পারে,সকলে পারে না,আমিও পারি না।
বড় অভিশপ্ত মনে হয় নিজেকে।
অথচ পকেট ভর্তি টাকা,কিন্তু ঈদ নেই।
যখন টাকা ছিল না, ছিল মন ভর্তি ঈদ!
এখন ঈদ এলেই মনে হয়,এই ঈদ আমার ঈদ নয়, এ যে মন ভাঙার ঈদ,প্রতিশ্রুতি ভাঙার ঈদ!
এই ঈদ আমার ঈদ নয়।