মৃত্যুর আগমনী বার্তা
আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি;
শুনতে পাচ্ছি,
আমার প্রস্থানের কাউন্টডাউন।
বুক ভরা অক্সিজেন নিতে-
আমার বেশ কষ্ট হচ্ছে।
হয়তো আমার বরাদ্ধ ফুরিয়ে গেছে।
তাইতো কৃত্রিম অক্সিজেন মাস্কে মুখ লাগিয়ে থাকতে হয় সারাক্ষণ।
হাসপাতালের বিছানায় কাটে প্রতিটি ক্ষণ।
ওষুধ, ইঞ্জেকশন, ডাক্তারের নানা পর্যবেক্ষণ।
আপনজনদের চেহারায়-
অনন্ত হতাশা আর টেনশন।
আমি বুঝতে পারছি
আমি আমার গন্তব্যের ঠিক কতটা কাছাকাছি।
তার পরেও কেউ যখন বলে,কেমন আছি,
আমি বলি,"ভালো আছি"!
আমার কানে লক্ষ-কোটিবার বাজতে থাকে-
"বাবা, তুমি কবে বাড়ি আসবা?"
" একটু একটু খাও, তাহলে জলদি সুস্থ হবা"!
তার কষ্ট-ধারা যখন তার নাকের ডগা বেয়ে
আমার কপালে এসে পড়ে,
আমি ডুবতে থাকি তাতে-
মহাকালের অতল গহব্বরে।
আমার শ্বাসকষ্ট ভীষণ রকম বেড়ে যায়।
তাকে থামতে বলতে চেয়ে,নিজেই থেমে যাই।
ভাবি,সে নিজেই-
জ্বলতে শিখুক,নিভতে শিখুক,
হারতে শিখুক,হারাতে শিখুক,
একাকিত্ব নিয়ে বাঁচতে শিখুক!