অনশন মঞ্চ ঘিরে সংবাদ উসখুস্
অজস্র নাগরিক চোখ যে কলামে-
সাংবাদিক জটলা আর ক্যামেরা প্রস্তুতি-
কিছু ছেলেমেয়ের মতো শেষ সম্বল-।
রাজ কৌশলী ঘরে---মৃত্যুর পরোয়ানা কিংবা-
গণতন্ত্রী রাজচক্রীর অন্তর্নিহিত পাসপোর্টে-
গতকালও তপ্ত ডায়াস,যন্ত্রী বলেছে-
পুরষ্কার মানি না ,অনশন মৃত্যুর দায়,ওরা মহীয়ান
ওরা ধর্মীর জাল বিছিয়ে হাত পাতে
অর্থ এই নয় লেখকের খ্যাতি দিতে হবে -
অর্থ এই নয় যে কেউ গনতন্ত্র পাবে-
অর্থ এ-ও নয় স্বীকৃতির দাবীদার হবে,
প্রশস্তিপত্র--অত দায় ওদের কেন?
ওরা মাত্র একবারই পাতে হাত,বারবার নয়
তারপর শীতাতপে কেমন নিশ্চুপ হয়ে যায়--
স্থির হয়ে যায় বিলাসিতা মোড়কে-
দেশের দশের স্পৃহা নিথর হতে থাকে।
আর নিশ্চুপে কেমন মরতে থাকে ন্যয্য দাবীরা,
রাতারাতি চামুন্ডায় ভরে যায় দেশ।
মেধার জলাঞ্জলি দিয়ে শুয়ে থাকে ফুটে ওরা--
অগনিত দেশ গড়া কারিগর, সেপথ মাড়ায় না যন্ত্রীরা-
দ্যাখো রাতারতি গড়ছে কলেজ, পুরষ্কারে ছড়াছড়ি-
রাজ্যে প্রথম,জেলার প্রথম,শহরে প্রথম----
সেই খ্যাতি শুয়ে আছে নিশ্চিত অকালে,
যত বাড়ে যন্ত্রী জৌলুস
প্রজা নিস্ব হয় তত-
ভোট পাঁকা হয় তত বাড়ে পূণ্যার্থী ভাতা
প্রণাম ভিজিট আর চামুন্ডা ভিজিটের প্রভেদ কিঞ্চিৎ।
বেশ চলে বাবাজপ বকলম শিষ্য সংবাদ--
ওরা রংবাজ ধুয়ে দেয় কলমের ধার
মুছে দেয় দাবী দাওয়া কথা
তেড়ে যায় কামাতুর নেশাগ্রহ চোখে
দিনের আলোয় খোলায় পোষাক শিক্ষার
ওরা মানেনা ন্যয্য কোন অধিকার
কেড়ে নেয় জীবনের দায়ভার
ওড়ায় ফানুস মৃত্যুর
বংশের দায় নিয়ে বসে সাম্রাজ্যে
কেড়ে খায়,শোষিতের ঘাম পাওনা-
রাত্র আঁধারে চলে ব্যভিচার পরোয়ানা-
তবু কান্ডারী বাবার চ্যালারা
ওরা পরিত্রাতা,দাতা, উদ্ধারক্
নির্বিঘ্ন রাখে ধ্বংসলীলা বরাবর
ওরা বেশ আছে প্রসাদ প্রাসাদে অন্নদাতা হয়ে-
জমে যায় ভবিষ্যৎ দাও পেলে সঠিক চাল্--
আর জোযন দূরে শুয়ে থাকে অনিশ্চিৎ মৃত্যু---
আহামরি পাশকরা মানুষের অন্ধকূপ চাকরী দাবীরা।
যন্ত্রীরা কিন্তু ওদের দেশের ভবিষ্যৎ মানেন না।