মুছে নাও দু চোখের ক্লান্ত বিপাক
বাইরে তাকাও,ওরাও এবার ক্ষান্ত হয়েছে
কত আর রণ দামামায় বিধর্মীর বৈষম্যপাত হবে?
ছোড়া পাথর দাবানলে এতকাল দুন্দুভি নিনাদে
আড়ষ্ট ওদের প্রত্যঙ্গ ঘিরে দুর্নীতি দল হ্যান্ডিক্র্যাপ্ট হল
শোন হে সময়- :এবারের ইতিহাস লিখে দিও মুক্তির স্রোত্
লিখে দিও মার্কস,লেলিনের গুষ্টিপাত শেষে রঙহীন পান্ডুলিপি,
কালের সীমানা পেড়িয়ে আর এক মুক্তি জয়ের কাব্য গড়েছে।
মুছে নাও ক্লান্তি সব ত্যক্ত বিষাদ;
চেয়েছিল হাতে বেড়ি উন্মাদ শিবির এক রঙ্গমঞ্চ হবে
পথ ঘরে গেয়ে যাবে আকর্নীর নিষিক্ত ক্ষুধা
ঘরে দ্বীপ জ্বেলে চির নির্বাপিত করে যে আঁধার গেল
ওরা তাহ্ করেছে গাজন শত মন্ত্রের উচ্চারণে
নিয়েছে শপথ,আমি কোন মাধুকরী নই-কে এসেছো-
বিচার প্রহসন,আমিও যাজ্ঞবক্ষে শুল্কঘৃত যোগে
করেছি সঙ্গম যমুনার মতো অথ্ এই শতকের ঘরে
জনমের মন্ত্রধারা মতে নির্বাহের শপথ কারণে।
মুছে নাও ক্লেদ যত যন্ত্রনার;
তাকাও বাইরে বিফল শিবির,ভ্রান্ত সব বিক্ষিপ্ত আরোপন
বিলাপ হয়েছে,এইবার স্ব-ভূমিকার তালিকা বানাও।
দেখে নাও পরুষকার বিজয়ী সত্যভাম,আমার আমিরে,
ক্ষুদ্রমাত্র কেশাগ্র হয়নি ভন্ডুল কোন ব্যাদান প্রলাপে
বারংবার বিষেদ্গার আর হীম কামার্তর বৃথা উদ্গীরণ
অঙ্গগুলি যথারীতি সচল সবল কর্মরীতি,ভিন্ন হয়নি কোন
নিন্দা প্রলাপ,শোন হে সময়,জটাজুট খসে গেছে রুদ্রতা
এইবারে নেমে এসো পথ সামনে রয়েছে অভিলাষ।
মুছে নাও শেষবার শুষ্ক অশ্রুজল;
দিগন্ত জুড়ে লিখে দাও বাঁচবার পূণ্য উচ্চারণ
বলে দাও নৈরাজ্যে নয়,সমতায় বাঁচবো সকলে
সমতায় বাঁচবো সকলে।