আকাশের এক কোন্ থেকে তোমার নিঃসীম চোখ
আমার পড়ার টেবিলের চারপাশ ঘুরে ঘুরে-
আবছায়ে অনতিক্রমের আল ছুঁইয়ে থাকে কোথাও
আমায় দেখে,খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে,দোষ-গুন সব-
জেনে যায় আমার বোধের প্রত্যেক বৈপরিত্য,
প্রত্যেক অস্বীকারের সংলাপ,গোপন শৈথিল্য,
ভাঙা-অসমান বয়স সন্ধিক্ষণ,সব জেনে যায়,
অতঃপর চোখের মণি খুইয়ে স্বেচ্ছা বাস।
সেই চোখ আমি ঘিরে রাখার চেষ্টা করি অজুহাতে
কথ্য ভাষার দীর্ঘ অভ্যাসে নিয়ত তালিকায়
প্রতি উঠা-পরায় তার সংযোগ পাই,প্রতি কিণারায়-
সে সন্তর্পণী স্তব্ধতা বড় বেশী মুখর হয়ে উঠে,
আমার নিস্তব্ধ পড়ার ঘরটায়। কারণ-কার্যের-
বিবিধ ব্যখ্যা হাস্যকর উপমায় বড় বেশী প্রকট।
একসময় নিজেই অর্থহীন অস্তিত্ব জনসমক্ষে
চোখ নেই কিছু নেই বিস্তীর্ণ শূণ্যতা বেয়ে-
নেমে যায় কতগুলি মৌনি প্রহরের অজুহাত।
আর আমার শরবিদ্ধ অহেতুক কার্য কারণ।