কদমতলার মাঠে গাবগাছি গ্রাম
আছে এক গাবগাছ মন্দির থাম।
সেই গাছ ছুঁতে হবে দশ মিনিটে
কদমতলা হয়ে ছয় পাক ছুটে।
পেত্নীরা রেডি সব ভূতের সভায়
জরি সাজে সেজেওরাআসর মাতায়।
হাটগাছা গাবগাছি প্রিয়দর্শিনী
এসেছেন সুন্দরী ষাট প্রতিযোগিনী
বিচারক ভুতু সাঁতু অধেক খরচে
বাকী ভীম সিং বাজোরিয়া বাঁচে
খাসা আয়োজন তার সুন্দরী নাচে।
ভুতেদের মহাভোজ তালিকায় আছে
এসেছে পঁচিশেক সরেশ পাঁঠা
আয়োজন শুরু হবে সন্ধ্যা ছটা।
বিশাল মঞ্চ ঘিরে ফ্যাশান প্যারেড
নানা রঙে পেত্নিরা রাম্পে বেহেড।
বিচারক খাবি খান পেত্নীর রুপে
বাজোরিয়া বড় ভূত বড় চিরকুটে-
ভীম সিং গোঁফ নেরে নম্বর টুকে-
একে তিনে জুরি মিলে ফাইনাল হলো
জমিদার পিতা তার চিরকুটে ছিল।
গুজগুজ ফিসফিস্ শুরু হল শেষে
ফাইনালে কে বা যায় সেটা অবশেষে।
রাখা আছে মুকুট হীরে জহরত্ প্রাইজ
প্রথম বিজয়ী বিশ্ব ভ্রমণ সারপ্রাইজ।
ন্যুইয়র্ক,লন্ডন,মাদ্রাজ,মাদাগাস্কার
দিনে হল্যান্ড রাতে হনলুলু পোষাক
ভুতবাবু টেনশান ঘন  বিড়ি টান
আখড়েতে চোখ তার পেত্নী বিভঙ্গন।
হেনকালে আকাশের চরম গাজন
হল ভঙ্গ সভা রঙ্গ ভুতের সাজন।
কিচিমিছি,ক্যাওম্যাও কত নাকি সুরে
আফশোস,হতাশায় সভা গেল ভরে।
পাঁঠাগুলো দিল ছুট্ যে যেখান খুশী
পেত্নীরা গাবগাছে ঠাঁই নিল শেষে।
বাজোরিয়া,ভুতবাবু বড় সব মাথা
কদমতলার মাঠে ভুতেদের সভা।
জল-কাদা বৃষ্টির প্রবল দুর্যোগে
খেলা শেষ গাবগাছ নাটক সহজে।