জন্মান্তর সাক্ষী,
এনেছো আমায় এ ভূবনে
কতো কামনা দিবস কেটেছে প্রার্থনায়
ডেকেছো ঈশ্বর, একবার মুখ তুলে তাকাও
সোনা মুখ দেখাও,দাও একবার
এ জগৎ ভিটার প্রদীপ দাও
সমতাপ ভুলিয়ে দাও.....
আমায় পাওয়ার জন্য পিতামহ
মানত করে ছিলেন সুদূর দরগায়
সৃষ্টি সকল বিধাতায়
অপার কৃপায়
সময় ঘনিয়ে দিন গুনে
চাঁদ সাগর হয়ে মায়ের কোলে
নাভিমুল ছিঁড়ে উঠেছি বেড়ে
যতটুকু মনে পড়ে
বাধা নিষেধের ঘরে জিম্মি রয়ে
পিতার আদেশ অমান্য করিনি কোন কালে
কোয়ার্টারে,
খেলার সময় খেলতে গিয়েছি
সময় গড়িয়ে ঘরের পথ ধরেছি
সন্ধ্যেয় পড়ার টেবিলে
পড়তে পড়তে ঘুমিয়েছি
তবে,
অলস্যের কাতারে ঘুমের তড়িতে চড়ে
ভাসতে পারি সারাক্ষণ
তাতে ছিলো’না বাধা
নাম রটে ছিলো ঘুমের গাধা
খাওয়া আর চাওয়া তাতে ছিলো’না
নিষেধের কোন ধারা।
কাজের বেলায় অকাজের দিন রয়ে ছিলাম
তখনি বলতেন হুদা বেহল আমার রে
কিভাবে চলবি এ জীবনে
আসবে কঠিন মানবেতর রে
করেনি কখনো মান অভিমান
শুধু হেঁসে হেঁসে কেটেছে দিনোমান।
পড়াশোনায় বড্ড কাচা ছিলাম
বার্ষিক পরীক্ষায় লিখতে না পেরে শুধু কাঁদতাম
ফলাফলে ছিলাম
সবার নিচে খাতায় উঠিত নাম
করেছি ফেল
তবু কমতি ছিলো’না বাবার আদরের আবেগ
একমাত্র ছিলাম ত
এই মাত্র দিয়ে মাত্রা করে ছিলেন।
কোন দিন কষ্টকে
কষ্ট বলে বুঝতে দেননি
এতোটা আগলিয়ে রেখেছেন
পিতা তুমি ত আমার অন্তরের দেবতা
তুমি বটো বৃক্ষ নিঃশার্ত ছায়া দাও
প্রাণে শীতলতা দাও
তোমার পদোচুম্বন করি মত সহস্র বার
তুমি মহান
সৃষ্টির সেরা অবতার দান
তোমায় রাখি হৃদয় কুঠিরে
সারা জনম ভরে
শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় নমষ্কারে।