শিয়াল তুমি বড্ড চালাক
আঙ্গুর ফলকে টক বলে যাও
বানর তারে আপন করে
সুযোগ বুঝে তার কাছে চাও
আরে দাদা একটু দে’না
চেয়ে নাও করুন প্রার্থনায়
খেয়ে নিয়ে বলো
পচাঁশালা এই খানা।
কুকুর তুমি কাকের কাছে
খানা চাও ঘে ঘে ছে ছে
হা করলে মুখের খানা
এই যাও বোকা হয় কাক মামা
বাধা নেই কোন মানা।
ইদুর তুমি নোংরা বটে
গন্ধ ছড়াও কেটে পুটে
বিড়াল এসে চুপটি করে
খাপ ধরে আর ইদুর মারে
খেয়ে বলে অমৃত স্বাদ অন্তরে।
চিকা এসে চিকচিকিয়ে
শৌচাগারের গন্ধ নিয়ে
বিষ মাখানো শুটকি খেয়ে
চিকা মরে উপর হয়ে।
বিড়াল বড়ো লোভী রে ভাই
ইদুর খেয়ে পেট ভরে তাই
মন্দ কি আর চায়
দুধের মুখে চুপসি করে
খেয়ে ধরে চিকা নিযে
চিকার সাথে নিজেও মরে।
শকুন রে আজ কোথায় তোরা
নদীর জলে উজান চলে ভাগাড় জলে
ফেলে দিলো বলদ মরার কালে
খেতে আয় এবার তোরা ভুগের কালে।
পিপীলিকা আসে দলে দলে
রক্ত মাংস খেয়ে চলে
সঞ্চয় নেয় ঘরে তুলে
সময়ে আগামীর কালে।
ওরে, ঐ
শুনে নেয় বজ্জাতের দল
মধু খোঁজে মৌমাছির দল
করে দিয়ে যায় ফুলে মঙ্গল।
আরো শুনবি
রাজ হংস যে অংশদারি
সুখের তরে আনন্দ দেয় মন্ত্র মুগ্ধ নারী
রাজ্য রাজার ঘরে
রানী হয় পরম সুখে হংসের জলের খেলা বারেবারে।
হস্তি এবার গণেষ মুখে
হরিণ এলো সবুজ বনে এলো রে ভাই
শান্তি নিয়ে গগণ জুড়ে
কবুতর আর চড়ুই।
কোকিল তুই চালাক বটে
বলছি না আর কিছু
সুরে সব ভুলিয়ে যাস
দেনা পাওনার দ্বন্দ
নিন্দুক তোরা শিখে নে
শিল্পের গুণের বাবুইয়ের ছন্দ
চন্দ্র এবার মুচ’কি হাসে
রটাস বদনাম আর মন্দ
অমবস্যায় দুঃখ শোকে
কাতর হই অবনন্দে
তাতে’ও থাকে চন্দ্র সকলের মাঝে
জড়া জীর্ণ বেদনায় মুচে জ্যোৎস্নায় হাসে আনন্দে।