একটুআধটু যা লেখি বুঝেশুনে লেখি - এ গুরুপাক কথাটির মর্মার্থ যথার্থ রূপে ঠিক বুঝিয়া উঠিতে পেরেছি কিনা বিশুদ্ধ অনুধাবন করিতে পারছিনা। লেখাতে বড়োই ভুলোমন। বানানে মনোনিবেশ থাকে না। আর দাঁড়ি কমা সে-তো বসাতে অবসর মিলে না। তবে, লেখার আয়োজনে যত্নআত্তির কমতি একেবারেই সহ্য করিনা।
নিজের ভাবনার সঙ্গে লেখার অলংকার সাজাতে ইচ্ছেমত শব্দ সংযোজন করি, ফুরসত মিলেনা দাঁড়ি কমার। সীমানার চারদেয়ালে বন্দী না রেখে অনুভূতি প্রকাশে স্বতঃস্ফূর্ততা নিয়ে লিখে যাই।
আমার লেখা জনতার কাতারে স্লোগান তুলবেনা জানি। ভাল লাগে তাই লেখি। পাঠক আমি নিজে, বারবার পড়ি, বারংবার পড়ি, পুনর্বার পড়ি। পড়তে কার্পণ্য পছন্দ করিনা। লেখাকে শিল্প ও তার শুদ্ধতার স্হান থেকে দেখার নতুন চিন্তার অনুভূতি নিয়ে আপন ইচ্ছায় লিখে যাই।
হয়তো আমার এ লেখা দুই মলাটের ভিতরে কখনো বন্দি হবেনা। বিস্তৃতির আড়ালে চলে যাবে, হয়তো হবে নিরুদ্দেশ। তবুও লেখি, তারপরও লেখি।