বাতাসে দুলছিলো মেঘ,
সুগন্ধি বাস্পের ফুল!
স্নিগ্ধ পরসে সুরভিত মন,
হয়েছে যে আকুল।

ঠা-ঠা দুপুর, ঊষর প্রান্তের শেষে,
চাতকের আর্তি কান্না।
ঘাতকের ধারালো চুরি,
চমকায় রোদের রৌশনা।

হাওয়ায়-হাওয়ায় বুনো উদ্দাম,
সহসা যে কে এলো?
বিদ্যুৎ গর্জে রূপসী বরষা,
পরম স্নিগ্ধতায় আমার-
পরাণ ছুঁয়ে গেলো!

কেতকী কদম্বে হায়! ময়ুর পাখায়,
কি আনন্দ হর্ষে উঠে!
গাঁয়ের ছেলেগুলো সেথায়,
মাঠে দিক্বিদিক ছুটে।

রংধনু রংমাখে সে, নীল আসমানে,
সবুজ পাহাড়ের চূড়ায়।
দিগন্তে বলাকার দল, পাখা নেড়ে তারা-
কোথায় যে হারায়?

বাঁকা খরস্রোতা নদী নিরবধি বয়-
সুরের কল্লোলে।
মুহুর্মুহু মূর্ছনা এ যে,
বুকে প্রেমের হিল্লোলে।

আহা! এমন আষাঢ়ে বরষা,
বারিধারা আমায়,
পাগল করেছে আজ, ডেকেছে-
অচিন পথের গাঁয়।