বছরে তাদের কেনা হয় বেশী হলে দু'টি পরিধেয়...
এত অল্প বস্ত্র ক্রয়?কারণটা তো সহজে অনুমেয়!
ছয় ঋতুতে তিনটি পোষাক কখনোই হয়নি কেনা...
বছরে বারোটি কেনে যারা,তথ্য ওদের নেই জানা?

শখের বসে নয়! বছরে দু' টি খরিদ, ঈদের জামা...
বহু বছর দুইটি ঈদে জুটে মাত্র একটি,দেয় মামা!
খাবার কেনার পয়সা নেই!তাদের কাছে কেন ঈদ?
চরম ক্ষুধায় দিন কাটে,অনেক সকালে ভাঙ্গে নিদ!

দু'টো ঈদ না থাকলে দেখা মিলতো কি কোন বস্ত্র?
ওদের জন্য অন্ন চিকিৎসা নেই,যাদের হাতে অস্ত্র!
গরীবের ধর্ম আছে, তাদের ঈদ নেই,হচ্ছে না খুশী...
সারা বছর খরচ করে! দুইটা ঈদে কেন খরচ বেশী?

১. পরম করুণাময় আল্লাহ।
২. তিনি কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন।
৩. তিনিই মানুষ সৃষ্টি করেছেন।
৪. তাদের বর্ণনা শিখিয়েছেন ।
৫. সূর্য ও চন্দ্র একটি হিসাব অনুসারে চলে।
৬.এবং তৃণলতা ও বৃক্ষাদি সেজদারত আছে।
৭.তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং স্থাপন করেছেন দাঁড়িপাল্লা।
৮. যাতে তুলাডন্ডে তোমরা সীমা লঙ্ঘন না করো।
৯. তোমরা ন্যায্য ওজন কায়েম কর এবং ওজনে কম দিয়ো না
১০. তিনি পৃথিবীকে স্থাপন করেছেন সৃষ্টজীবের জন্যে
১১. এখানে আছে ফলমূল এবং বহিরাবরণবিশিষ্ট খেজুর বৃক্ষ।
১২. আর আছে খোসাবিশিষ্ট শস্য ও সুগন্ধি ফুল
১৩. অতএব হে জ্বিন্‌ ও মানব! তোমরা উভয় জাতি তোমাদের রবের কোন্‌ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
১৪. তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির মতো শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে।
১৫. তিনি  ধূম্রহীন আগুনের শিখা থেকে জ্বিনদেরকে সৃষ্টি করেছেন।
১৬. অতএব, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
১৭. তিনি দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের মালিক।
১৮. অতএব, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
১৯. তিনি পাশাপাশি দু'টি দরিয়া প্রবাহিত করেছেন।
২০. তাদের মধ্যে একটি অন্তরাল রয়েছে যা একটি অন্যটিকে অতিক্রম করে না।
২১. অতএব, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
২২. এই দুটি পানি-প্রবাহ থেকে মুক্তা এবং প্রবাল উৎপন্ন হয়।
২৩. অতএব, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
২৪. পর্বতসম জাহাজ এবং সমুদ্র তাঁরই নিয়ন্ত্রনে
২৫. অতএব, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
২৬. পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠে সবকিছুই ধ্বংসশীল।
২৭. একমাত্র সর্বশক্তিমান ও  মহিমান্বিত পালনকর্তার সত্তা ছাড়া।
২৮. অতএব, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
২৯. আসমান ও জমিনে যারা আছে তারা সবাই তাঁর কাছে প্রার্থনারত। তিঁঁনি সর্বদা কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকেন।
৩০. অতএব, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৩১. হে জ্বিন ও মানুষ! আমি শীঘ্রই তোমাদের সকল দায়িত্ব থেকে মুক্ত হব।
৩২. অতএব, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৩৩. হে জিন ও মানবজাতি, যদি তোমরা আসমান ও জমিনের সীমা অতিক্রম করতে পারো, তাহলে সেগুলো অতিক্রম করো। কিন্তু তোমরা আমার ছাড়পত্র ছাড়া সেগুলো অতিক্রম করতে পারবে না।
৩৪. অতএব, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৩৫. তোমার দিকে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ এবং ধূম্রকুঞ্জ ছাড়া হবে, আর তোমরা সেগুলো প্রতিহত করতে পারবে না।
৩৬. অতএব, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৩৭. যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে, সেদিন তা লাল রঞ্জিত চামড়ার মতো হবে।
৩৮. তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৩৯. সেদিন মানুষ ও জ্বিন উভয়কেই তাদের পাপ সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না।
৪০. তোমরা (মানুষ ও জ্বিন) উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৪১. অপরাধীদের মুখ দেখেই চেনা যাবে; তারপর তাদের চুল এবং পা ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে।
৪২. তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৪৩. এটাই সেই জাহান্নাম, যাকে অপরাধীরা অবিশ্বাস করতো।
৪৪. তারা জাহান্নামের আগুন ও ফুটন্ত পানির মাঝখানে প্রদক্ষিন করবে
৪৫. তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৪৬. যারা তাদের প্রতিপালকের সামনে হাজির হতে ভয় পায়, তাদের জন্যই দুটি জান্নাত রয়েছে।
৪৭. তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ অবদানকে অস্বীকার করবে?
৪৮. উভয় বাগানই ঘন গাছপালা সমৃদ্ধ।
৪৯. তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৫০. উভয় উদ্যানই ঘন শাখা-পল্লববিশিষ্ট হবে।
৫১. তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৫২. প্রতিটি বাগানের প্রতিটি ফলই ভিন্ন ভিন্ন জাতের হবে।
৫৩. তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৫৪. তারা রেশম ঢাকা পালঙ্কের উপর  হেলান দিয়ে বসবে। উভয় উদ্যানের ফল তাদের নিকট ঝুলতে থাকবে।
৫৫. তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৫৬. আনত নয়নে সুন্দরী নারীরা থাকবে যাদেরকে ইতিপূর্বে কোন জ্বিন বা মানুষ আগে কখনও দেখেনি বা স্পর্শ করেনি
৫৭. তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৫৮.  প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ হুর রা থাকবে।
৫৯. তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৬০.  সৎকাজেরপ্রতিদান উত্তম পুরস্কারব্যতিত আর কী হতে পারে?
৬১. তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৬২. এই দুটি বাগান ছাড়াও আরো দুটি উদ্যান থাকবে।
৬৩. তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৬৪. সেগুলো কাল্চে গাঢ় সবুজ বাগান।
৬৫. তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৬৬.সেগুলোতে উদ্বেলিত দুই ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে।
৬৭. তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৬৮.  সেখানে থাকবে ফল-মুল, খেজুর ও আনার।
৬৯. তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৭০. সুন্দরী ও সৎকর্মপরায়ণ নারীরা থাকবে।
৭১. তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৭২. তাঁবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ থাকবে।
৭৩. অতএব, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৭৪.তারা কোন জ্বিন বা মানুষের সংস্পর্শে আসেনি।
৭৫. অতএব, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৭৬. ওরা ই সবুজ পালঙ্ক এবং উন্নতমানের বিছানায় হেলান দিয়ে বসে থাকবে।
৭৭. অতএব, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
৭৮. কত পুণ্যময়-বরকতময় পালনকর্তা, যিনি মহিমান্বিত, মহান।
৭৮. তোমার প্রভুর (আল্লাহর) নাম বরকতময়, যিনি মহিমা ও সম্মানের অধিকারী।
********************************************
১. পরম করুণাময় (আল্লাহ)!

২. (তোমাদের) কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন (তাঁর রহমতে)।

৩. তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।

৪. তিনি তাকে স্পষ্টভাষী ভাষা শিক্ষা দিয়েছেন।

৫. সূর্য ও চন্দ্র তাদের নির্দিষ্ট গতিতে (ঠিক) বিচরণ করে, প্রত্যেকের জন্য (হিসাব ইত্যাদির জন্য) নির্ধারিত ধাপে।

৬. এবং লতাপাতা (বা তারা) এবং গাছ উভয়ই সিজদা করে।

৭. এবং তিনি আকাশকে উচ্চ করেছেন, এবং তিনি দাঁড়িপাল্লা স্থাপন করেছেন।

৮. যাতে তোমরা (নিয়ম) দাঁড়িপাল্লা লঙ্ঘন না করো।

৯. এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করো এবং দাঁড়িপাল্লায় কম করো না।

১০. এবং তিনি পৃথিবীকে সৃষ্টির জন্য স্থাপন করেছেন।

১১. তাতে রয়েছে ফলমূল, খেজুর গাছ যা আবৃত ফলের ডালপালা (খেজুর ঘেরা) উৎপন্ন করে।

১২. আর শস্য, যার পাতা ও ডাঁটা খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এবং সুগন্ধিযুক্ত উদ্ভিদ।

১৩. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিআমত অস্বীকার করবে?

১৪. তিনি মানুষকে (আদম) মাটির পাত্রের মতো ভোঁতা মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।

১৫. আর জিনদেরকে তিনি আগুনের ধোঁয়াবিহীন শিখা থেকে সৃষ্টি করেছেন।

১৬. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিআমত অস্বীকার করবে?

১৭. (তিনি) দুই পূর্ব (গ্রীষ্মের প্রথম দিকে সূর্যোদয়ের স্থান এবং শীতের প্রথম দিকে সূর্যাস্তের স্থান) এবং দুই পশ্চিমের (গ্রীষ্মের প্রথম দিকে সূর্যাস্তের স্থান এবং শীতের প্রথম দিকে) পালনকর্তা।

১৮. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিআমত অস্বীকার করবে?

১৯. তিনি দুটি সমুদ্র (লবণাক্ত পানি এবং মিষ্টি) একসাথে মিলিত হওয়ার জন্য প্রবাহিত করেছেন।

২০. তাদের মাঝখানে একটি প্রাচীর রয়েছে যা তাদের কেউ অতিক্রম করতে পারে না।

২১. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিআমত অস্বীকার করবে?

২২. উভয় থেকে মুক্তা ও প্রবাল নির্গত হয়।

২৩. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিআমত অস্বীকার করবে?

২৪. আর সমুদ্রে পাহাড়ের মতো চলাচলকারী জাহাজগুলো তাঁরই।

২৫. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিআমত অস্বীকার করবে?

২৬. এর উপর যা কিছু আছে তা ধ্বংস হয়ে যাবে।

২৭. এবং তোমাদের প্রভুর মুখমন্ডল চিরকাল থাকবে।

২৮. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিআমত অস্বীকার করবে?

২৯. আসমান ও জমিনে যে কেউ আছে সে (তাঁর কাছে তার চাহিদা) প্রার্থনা করে। প্রতিদিনই তাঁর কিছু না কিছু কাজ থাকে (যেমন কাউকে সম্মান, কাউকে অপমান, কাউকে জীবন, কাউকে মৃত্যু ইত্যাদি)!

৩০. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?

৩১. হে দুই শ্রেণী (জ্বীন ও মানুষ) আমরা তোমাদের সেবা করব!

৩২. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?

৩৩. হে জিন ও মানুষের দল! যদি তোমাদের আকাশ ও পৃথিবীর সীমানা অতিক্রম করার ক্ষমতা থাকে, তাহলে (তাদের) অতিক্রম করো! কিন্তু (আল্লাহর) কর্তৃত্ব ছাড়া তোমরা কখনও সেগুলো অতিক্রম করতে পারবে না!

৩৪. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?

৩৫. তোমাদের উভয়ের বিরুদ্ধে ধোঁয়াবিহীন আগুনের শিখা এবং (গলিত) পিতল পাঠানো হবে, এবং তোমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না।

৩৬. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?

৩৭. তারপর যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে এবং তা লাল তেলের মতো লাল অথবা লাল চামড়ার মতো গোলাপী বা লাল হয়ে যাবে।

৩৮. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?

৩৯. অতএব সেদিন মানুষ বা জিনকে তার পাপ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করা হবে না (কারণ তারা ইতিমধ্যেই তাদের মুখমণ্ডল থেকে সাদা বা কালো চেনা যাবে)।

৪০. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?

৪১. মুজরিম (মুজরিম, অপরাধী, পাপী, ইত্যাদি) তাদের চিহ্ন (কালো মুখমণ্ডল) দ্বারা পরিচিত হবে, এবং তাদের কপালের চুল এবং পায়ের আঁচড় ধরে ধরা হবে।

৪২. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?

৪৩. এটা সেই জাহান্নাম যাকে মুজরিমরা (মুশরিক, অপরাধী, পাপী ইত্যাদি) অস্বীকার করেছিল।

৪৪. তারা এর (জাহান্নাম) এবং ফুটন্ত গরম পানির মাঝখানে যাবে!

৪৫. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৪৬. কিন্তু যে ব্যক্তি [আল্লাহ ও তাঁর রাসূল মুহাম্মদ কর্তৃক নির্ধারিত সকল কর্তব্য পালন করে এবং ইসলামে নিষিদ্ধ সকল ধরণের পাপ ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে এবং] তার পালনকর্তার সামনে দাঁড়ানোর ভয় করে, তার জন্য দুটি জান্নাত (অর্থাৎ জান্নাতে) থাকবে।

৪৭. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৪৮. বিস্তৃত শাখা-প্রশাখা সহ;

৪৯. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৫০. তাদের (উভয়ের) মধ্যে দুটি ঝর্ণা প্রবাহিত হবে (মুক্ত)

৫১. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?

৫২. তাদের (উভয়ের) মধ্যে থাকবে জোড়ায় জোড়ায় নানা ধরণের ফল।

৫৩. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?

৫৪. রেশমের ব্রোকেডের আস্তরণযুক্ত পালঙ্কে হেলান দিয়ে বসে থাকা, এবং দুটি জান্নাতের ফল নিকটবর্তী হবে।

৫৫. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?
৫৬. সেখানে উভয়ে থাকবে (কুমারী) যারা তাদের স্বামীদের প্রতি তাদের দৃষ্টি সংযত রাখবে, যাদের পূর্বে কোন পুরুষ বা জিন ইয়াতমিছহুন্না (যৌন মিলনের মাধ্যমে তাদের হাইমেন খুলে দেয়নি)।

৫৭. তাহলে তোমরা উভয়ে (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?

৫৮. (সৌন্দর্যে) তারা রুবি ও প্রবালের মতো।

৫৯. তাহলে তোমরা উভয়ে (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?

৬০. ভালো কাজের জন্য কি ভালো ছাড়া আর কোন প্রতিদান আছে?

৬১. তাহলে তোমরা উভয়ে (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?

৬২. এবং এই দুটি ছাড়াও (অর্থাৎ জান্নাতে) আরও দুটি জান্নাত রয়েছে।

৬৩. তাহলে তোমরা উভয়ে (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?

৬৪. গাঢ় সবুজ (রঙে)।

65. তাহলে তোমরা উভয়ে (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিআমত অস্বীকার করবে?

66. তাদের (উভয়) মধ্যে থাকবে দুটি ঝর্ণাধারা যা থেকে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

67. তাহলে তোমরা উভয়ে (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিআমত অস্বীকার করবে?

68. তাদের (উভয়) মধ্যে থাকবে ফলমূল, খেজুর ও ডালিম।

69. তাহলে তোমরা উভয়ে (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিআমত অস্বীকার করবে?

70. সেখানে (বাগানে) সুন্দরী (স্ত্রী) থাকবে;

71. তাহলে তোমরা উভয়ে (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিআমত অস্বীকার করবে?

72. হুরীরা (সুন্দরী, সুন্দরী নারী) যারা তাঁবুতে আবদ্ধ;

73. তাহলে তোমরা উভয়ে (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিআমত অস্বীকার করবে?

৭৪. যাদের পূর্বে কোন মানুষ বা জিন তাদের যৌন মিলনের মাধ্যমে তাদের যৌনাঙ্গ খুলে দেয়নি।

৭৫. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিআমত অস্বীকার করবে?

৭৬. সবুজ গালিচা এবং সুন্দর গদিতে হেলান দিয়ে বসে।

৭৭. তাহলে তোমরা (জ্বীন ও মানুষ) তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন নিআমত অস্বীকার করবে?

৭৮. তোমাদের পালনকর্তার (আল্লাহর) নাম ধন্য, যিনি মহিমা ও সম্মানের মালিক।