ছাত্র আন্দোলনে হাসিনা সরকারের হলো কী পতন!
আট আগষ্টে বঙ্গভবনে দেখতে পেলাম অনেক রতন...
আসলে আওয়ামী সরকার সরানো টা উদ্দেশ্য ছিল,
ছাত্র-জনতা ই অন্য রকম এক স্বাধীনতার স্বাদ দিল!
আন্দোলনের ব্যবচ্ছেদ করে এখন কী পাওয়া যায়!
দেশ-স্বার্থ বিক্রি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খায়?
ইউনূসের জানা এ আন্দোলনের পরিকল্পনার কথা?
নয়া সরকারের লাগবে দেড় বছর,সব দলের ব্যথা!
সাধারণ মানুষ আর সেনাবাহিনী কিছুই কি করেনি?
সব রকমের সমর্থন দিয়ে আন্দোলনের হাল ধরেনি,
আন্দোলন-অভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড ইউনূসের সাথে...
ক্লিন্টনের এক অনুষ্ঠানে জানলো সে প্রশংসার পাতে!
আবেগে অনেকে কথা বলে, আগেই ছিল পরিকল্পনা...
আন্দোলনের সফলতা সবাই আঁকছে শত আলপনা!
সেনাবাহিনীর উপর আমেরিকার এখন স্যাঙ্ক্শন নেই,
অযোগ্য সরকার কী করবে জানেনা, হারিয়েছে খেই!
আসল খেলা খেলেছে আমেরিকা,ভারতকে দিল বাদ!
তথাকথিত গণতন্ত্র-তরকারী খেতে, সাথে চাচ্ছে ভাত।
সম্প্রতি ডোনাল্ড লু কিন্তু দেশে এসেছিল হয়ে ভারত,
ছাত্র আর অন্যান্য দল থেকে ছিলনা কোন রকম মত?
আমেরিকা কে বাদ দিয়ে কেউ কি কিছু করতে পারে?
কোন দেশের রাজনীতির কল কাঠি তো তারাই নাড়ে!
তার স্বার্থ পূরণ আগে, বোকা ইউনুসে কি কিছু মাগে?
পরিকল্পিত আন্দোলন! আমেরিকা জানে কত আগে!
শ্রেণি ব্যবধান দূরীকরণ
----------------------
দেশের আসল সমস্যা সংবিধান নয়,
বর্তমান দেশ পরিচালনায় জড়িত, তারা মনে করছেন সংবিধান আসল সমস্যা। কিন্তু এটি নয়, দেশের আসল সমস্যা শ্রেণি ব্যবধান। শুধু ভোটাধিকার অর্জনের বিবেচনায় নয়, ধনসম্পদ অর্জনসহ অন্যান্য সুচকেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তা না হলে প্রতিবার নির্বাচনে ধনীরাই জয়ী হবে। মেধাবী, সৎ ও প্রকৃত জনপ্রিয় ব্যাক্তিরা নির্বাচিত হতে পারবে না। আমাদের সকলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। সমান সুযোগ ছাড়া অধিকারের কথা বলা অর্থহীন। শিক্ষা অর্জন করতে গেলে যদি টাকার বিষয় দাড়ায় তাহলে শিক্ষা অধিকার হলো কিভাবে ? স্কুলে পড়ার ক্ষেত্রে, হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে, রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে, গণযোগাযোগ, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সব ক্ষেত্রে সম অধিকার প্রতিষ্ঠা করা গেলে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলা যাবে।
রাষ্ট্রে মৌলিক অধিকার না থাকলে রাষ্ট্রই ব্যর্থ। বুঝতে হবে রাষ্ট্রই গঠিত হয়নি।
বার বার বলছি এভাবে একটি দেশ চলে না ভাই, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এভাবে মারা যাবে, এটা কোন দেশের সভ্যতা না বরবরতা , বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টি’র দীর্ঘদিনের দাবি বছরে ২০ লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থান দিতে হবে, সরকারের কোন প্রকার অর্থায়না ছাড়া, কিন্তু সরকারের অধিনে । সকল বেকার এক হও, ২০ লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা কর।
উনি বেচেঁ থাকতে দুনিয়ায় সব হারিয়েছেন। ভাবতেই কেমন লাগে যে প্রিয় মানুষদের হারানোর কষ্টে উনি অসুস্থ হয়ে গেছেন। আজকাল মানুষ তো কারও কদরই করে না, আর উনি মানুষ হারানোর জন্য কত কষ্টই না পেয়েছেন। নিশ্চয়ই খুব সরল মনের মানুষ ছিলেন। আল্লাহ উনার পাপ থাকলে ক্ষমা করে দিও। অনেক কষ্ট দিসি দুনিয়ার মানুষ উনাকে। শেষ মুহূর্তেও যন্ত্রণা দিয়ে উনার ভেতর থেকে প্রাণটা বের করা হইসে। আল্লাহ তুমি তাকে বেহেশতে ভালো রেখো। আমরা মানুষ হিসেবে বড়ই নিষ্ঠুর। এই নিষ্ঠুর যারা তারাই হয়তো বেঁচে থাকি আর ভালো মানুষ গুলোকে আল্লাহ মনে হয় তাড়াতাড়ি নিয়ে যান।