গাঢ় নয় প্রকাশ...
সমাজ গঠন অনুরূপ,
জনতার বাসনা!
-------------------------------------------------------------------
আইয়ুববিরোধী ’৬৯-এর অভ্যুত্থানের চালিকাশক্তি ছিলেন বামপন্থীরা। এর সূত্রপাত করেছিলেন মওলানা ভাসানী। কিন্তু ’৭০-এর নির্বাচনে ক্ষমতা বুর্জোয়াদের হাতে চলে গেল। রাষ্ট্র ’৪৭-এ বদলায়নি, একাত্তুরেও বদলায়নি।
যে ঔপনিবেশিকতা ছিল ব্রিটিশ আমলে, পাকিস্তানিরা এসে সেরকমই একটি নতুন অভ্যন্তরীণ উপনিবেশ তৈরি করেছিল। সেই উপনিবেশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধান ভূমিকায় ছিলেন বামপন্থীরা। কিন্তু তাঁরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে পারেননি। এর একটি বড় কারণ চীনপন্থী ও রুশপন্থীদের বিভাজন।
শুধু পোশাক পরিবর্তন হয়েছে রাষ্ট্রের। সমাজ ইতিহাসের একটি নিয়ম হলো—সবার চেতনা একসঙ্গে বিকশিত হয় না। তবে গণ-অভ্যুত্থানের সময় একেবারে নিম্নস্তরের চেতনাসম্পন্ন মানুষও সামনে চলে আসে।’
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে ছিল জমিদারদের উপনিবেশ। আজ বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে ধনীদের উপনিবেশ। এক সময় ঔপনিবেশিক শাসকরা এ দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করতেন, এ দেশকে তাঁরা নিজেদের দেশ মনে করতেন না, আজ বাংলাদেশের ধনীরাও সেই একই কাজ করছে। সুতরাং চরিত্রগতভাবে রাষ্ট্রের তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।
আগষ্টে যে গণ-অভ্যুত্থান ঘটল, সে অভ্যুত্থানে কোনো বিপ্লব ঘটেনি, তাই।এক ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটেছে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ঘটতে পারত এই পতন।
‘পৃথিবীজুড়েই পুঁজিবাদ ফ্যাসিবাদের রূপ নিয়েছে। এই অবস্থা পরিবর্তনে প্রতিটি গ্রাম-ইউনিয়নে যুক্তফ্রন্ট গঠন করতে হবে। তাহলে এখন যে ছাত্ররা বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরছে, পথের সন্ধান পাচ্ছে না, তারা পথের সন্ধান পাবে। এই নির্বাচনে ভালো কিছু না হলেও পরবর্তী নির্বাচনে দেখা যাবে বামপন্থীরাই প্রধান শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
‘বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবির অর্থায়নের কারণে বাংলাদেশে বৈষম্য বেড়েছে এবং শিক্ষা-চিকিৎসার বাণিজ্যিকীকরণ হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত ভয়ংকর শঙ্কার মধ্যে পড়েছে। সরকার যদি তাদের ওপর ভরসা করে এখনো অর্থনীতিকে পুনর্গঠনের চিন্তা করে, তাহলে পরিবর্তনটা কোথায় হচ্ছে? দেয়ালে দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিগুলোর মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা আছে, তা সরকার বাস্তবায়ন করতে পারেনি।’