ইউরোপের বড় এক আন্তর্জাতিক তরঙ্গিণী,
তার নাম রাইন, প্রতিবেশী দেশ গুলো গুণী,
সুইটজারল্যান্ড অস্ট্রিয়া ফ্রান্স এবং জার্মানি।
তার কোন বাঁধ নেই,পায় তারা হিস্যার পানি,
অভিযোগ নেই, এখনো আছে কি কোন দেশ?
সভ্য দেশ গুলোতে প্রবাহিত হয়ে আছে বেশ!
  
অন্য এক শৈবলিনী, তিস্তার অনেক অনুতাপ!
বাজে কপাল! তটিনী রাইন করে না সে পাপ।
তার অববাহিকাতে সংস্কৃতি- সভ্যতার বিকাশ_
তাকে কেন্দ্র, অনেক কিছু হয়েছে, দেয়নি ফাঁস
সেচ আর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তার উজান,
গজল ডোবায় বাঁধ! নির্মানে দেশপ্রেমের ভান!  
ভাটিতে পরিবেশ জীবন-জীবিকা আর জলবায়ু,
অর্থনীতি তে মারাত্মক প্রভাবে শেষ তার আয়ু!
নেই কিন্তু সে অগভীর পানির জন্য ন্যায্য হিস্যা...
অনেক স্রোতস্বিনীতে হাজার নাব্যতার কিসসা,
পানি ছেড়ে দিলে হয় ভাটিতে অকষ্মাৎ বন্যা!
ধরে রাখা পানি, খরাতে সে হাঁটু পানির কন্যা_
ধু-ধু বালুচরে কঙ্কালসার, কী যে এক ফাঁদ!
যেমন ট হয়েছে বরাক নদীর টিপাই মুখ বাঁধ,
গঙ্গার উজানে কতটা ক্ষতি হয় ফারাক্কা বাঁধে,
নদীমাতৃক এক দেশের মানুষ ভাটিতে কাঁদে,

তিস্তা নির্ঝরিণীর আছে কি কোন রকমের গর্ব!
তাকে নিয়ে এখন তিন দেশের রাজনীতি খর্ব,
আফসোস কী অভাগা দেশে হয়েছে তার জন্ম!
রাইনকে হিংসে! মরে যাবার ইচ্ছেটা কি ধর্ম?