বর্ণ হে তুমি সাতচল্লিশের ৮ই ডিসেম্বর,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে ছাত্রদের মহা সমাবেশ।
ভাষাবিদ শহিদুল্লাহ কিংবা সাহিত্যিক আবুল মনসুরের
ক্ষিপ্ত কন্ঠে তেজোদিপ্ত ভাষণ।
বর্ণ হে তুমি ৪৭এর "রাষ্ট ভাষা সংগ্রাম পরিষদ",
গণপরিষদে ধীরেদ্রনাথের প্রথম দাবী উত্তাপন।
ভূপেন্দ্র কুমার, প্রেমহরি বর্মন কিংবা শ্রীশচন্দ্রের
পূর্ণ সমর্থনে জোড়াল করতালি।
বর্ণ হে তুমি ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখে
রাজপথে ছাত্রদের গলা ফাঠানো চিৎকার।
কিশোরীর হাতে সাদা প্লে কার্ডে লেখা
"বাংলা আামার অহংকার"।
বর্ণ হে তুমি দুপুর বেলার কাঠফাটা রৌদ্রে
ছাত্রজনতার মিছিলে উত্তাল জনসমুদ্র।
সালাম, রফিক, বরকত কিংবা জব্বারের
মুষ্টিবদ্ধ হাতের আন্দোলনি চিত্র।
বর্ণ হে তুমি ভাষা শহীদের রক্ত
আর ঘামে মাখা টি শার্ট।
শহীদ স্মৃতির অম্লান প্রয়াসে
রাতারাতি গড়ে ওঠা শহীদ মিনার।
বর্ণ হে তুমি রবীন্দ্র কিংবা নজরুলের উপন্যাসে
শত শতবার সেজেছো তুমি তোমার আপন রুপে।
বর্ণ হে তুমি একুশের দান,
শহীদের প্রতিটি রক্তের ফোটার মিশ্রন যেন -
বসন্তের প্রভাতের মিনারের গায়ের
প্রতিটি বালিকণা আজ হু হু করে কাঁদে।
আত্মহুংকারের চিৎকারে আজ
মিশিয়ে দিয়েছি প্রাণ,
শক্তি দাও হে একুশ তুমি রাখতে বর্ণ মান।