এসো বিজয়ের আনন্দে উল্লাস করি আজ।
যে উল্লাসে আনে পূর্ণতার সুখ,
বিজয়ের ব্যাকুলতা, মুক্তির প্রাপ্যতা।
এসো সেই উল্লাসে বিজয়ের মিছিল করি আজ।
যে উল্লাসে মিশে আছে -
দুঃশাসন রুখে দেওয়ার ঐক্যতান।
বাংলার নির্মল বাতাসে উড়ানো লাল সবুজের নিশান,
রুদ্ধশ্বাস উত্তাল মিছিলে উল্লাস জাগ্রত জনতার,
মনে পরে সূর্যসেন, তিতুমীর আর প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।
এসো সেই উল্লাসে মেতে উঠি আজ।
যে উল্লাস স্মরণে আনে -
বঙ্গবন্ধুর মাঠ কাঁপানো ভাষণ,
মুক্তিযোদ্ধার শত্রু দমনের
মেশিনগানের আওয়াজ ঝনঝনঝন।
অশ্রুভেজা চোখে বীরাঙ্গনা মায়ের শাড়ির পবিত্র আঁচল,
প্রান্তর মাঠ জুড়ে পাখিদের আর্তনাদের কোলাহল।
এসো সেই উল্লাসে মেতে উঠি আজ।
যে উল্লাসে মনে পরে -
বঙ্গবন্ধুর মোঠা ফ্রেমের কালো চশমার ক্ষিপ্ত দৃষ্টি।
শেখ মুজিবের জয় বাংলার স্বপ্নের সৃষ্টি।
রাজনীতির শৈল শিল্পী আবদুল হামিদ খান ভাসানী,
এ কে ফজলুল হক আর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
এসো সেই উল্লাসে মেতে উঠি আজ।
এই উল্লাস মনে করিয়ে দিক-
নারী আদর্শ তারামন বিবি আর সেতারা বেগমের কথা।
সাত বীরশ্রেষ্ঠ আর ত্রিশ লক্ষ শহীদের ঋণের বার্তা।
বুদ্ধিজীবী সূর্যসন্তানদের নির্ভয়ে আত্মহুতির দৃশ্য।
বিনিময়ে মিলিয়েছে যারা দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা ঐসর্য্য।
এসো সেই উল্লাসে মেতে উঠি আজ।
এই উল্লাসে থাকুক-
চিত্রকরের রংতুলিতে অংকিত সবুজের সমারোহ।
গায়কের কোমল কণ্ঠে গাওয়া "ধনধান্যে পুষ্পে ভরা"।
শত কবিদের ভাষায় রচিত বাংলার রূপরেখা,
স্কুল মাঠে এসেম্বলি তে দাঁড়ানো কিশোর কিশোরীদের
সমবেত কণ্ঠে আমার সোনার বাংলা।
এসো সেই উল্লাসে মেতে উঠি আজ।
যে উল্লাসে থাকবে -
রেসকোর্স ময়দানে তিরানব্বই হাজার
সৈন্য বাহিনীর মাথা নোয়ানো আত্মসমর্পণ,
পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামক মানচিত্রের নতুন সৃষ্টি।
এদেশ আমার, এদেশ তোমার অহংকারের আত্বচিৎকার।
এসো সেই উল্লাসে মেতে উঠি আজ,
উড়ায়ে বিজয় নিশান,
প্রাণের বাংলার করি জয়গান।