চলমান সৈনিক কোষ চিনে নেয় গন্তব্য,
সর্পিল পথনালীকায় আঁকাবাকা- অবিরাম,
লক্ষ্যবস্তুতে হানতে চায় আঘাত- অভ্রান্ত।
সরু টানেলের অন্তর্গাত্রে যেমন চলে পাতাল ট্রেন,
অথবা-
করিডোর ধরে ছুটে চলা অগনিত মানব সন্তান।
তেমনি,
বহু সৈনিক কোষ যুদ্ধ জয়ের তরে আক্রমনাত্মক
কিংবা মরিয়া।
পেছনে ফেলে যুদ্ধযান।
জনৈক প্রতিক্রিয়াশীল বীর সৈনিক কোষ
নায়কের বেশে আগ্রাসী- ভয়াবহ ক্ষীপ্রতায় আবদ্ধ।
সাহসী যে- সে পারে ছিনিয়ে নিতে বিজয়।
কতিপয় সঙ্গীসেনার মাঝে থেকে একাকী
সৃষ্টি করে লৌকিক ফাটল- নিশ্ছিদ্র বেষ্ঠনীর বহির্গাত্রে,
তন্মধ্যে করে প্রবেশ।
গড়ে তোলে একচ্ছত্র আধিপত্য।
রমন প্রত্যাশী, মন্ত্রনাদায়িনী, বৈরীরূপী- নায়িকা
উন্মাদ মহামিলনে।
কামাতুর যে- সে কি পারে এড়াতে পিছুটান?
বীরের হাতে অর্পন করে কুমারীত্ব;
নতুবা ক্ষয় যৌবন আয়ুর।
পরাজিত হতে পায় সুখ,
অন্তঃপ্রাণে বন্দি করে নায়কের কায়ামূর্তি।
বিজয়ী নায়ক আজ বন্দি- পরাধীন,
পরাজিত নায়িকা তুষ্ট- তৃপ্তিতে।
শান্তিচুক্তি, পাশাপাশি থাকার প্রতিশ্রুতি।
রচনা করে দ্বৈতসত্বা- একীভূত হয়ে; পৃক্ততায়,
প্রস্ফুটিত হয়।
তারা পাপী কিংবা পূণ্যবান
বিচারে বা অবিচারে দায়বদ্ধ,
বিধান পায়- কারাবাসনের।
মাতৃজঠরের প্রধান ফটক উগরে দেয় পুণ্যাত্মা
প্রায়শ্চিত্য যেমন পরিশুদ্ধ করে চিত্ত।
দীর্ঘ কারাবাসনের অবসান- মুক্তি,
ধরায় পাঠায় নতুন পাপ-পূণ্যের সন্ধানে।
পাপ পূণ্য থেকে পাপ পূণ্য,
কারাবাস থেকে কারাবাস,
ঘোরে চক্রাকারে।