তা লোকে যে যাই ভাবে ভাবুক,
এবার আমি তাকিয়ে থাকবো আকাশের দিকে,
সূর্যাস্তের শেষ রশ্মিটি হারিয়ে যাবার আগে
বর্ষার প্রথম বৃষ্টি মর্ত্যে আছড়ে পড়ার আগে
দু'হাতে তুলে ধরবো-
বিদীর্ণ ইতিহাসের অক্ষয় শিলালিপি।
তা যে যাই বলছে বলুক,
আরক্তিম লজ্জার শেষটুকু এবার বিসর্জন দেবো
খরস্রোতা মেঘনার অববাহিকায়,
অনুর্বর কৃষির পতিত খামারে
আবার আসুক ফলনের জোয়ার।
গোয়ালের গাভীগুলো দুধ দিলে
রসে গ্রাসে ভিজে যাবে সন্তানের মুখ।
কৃষ্ণপক্ষে ঘোর লাগা দ্বিপ্রহর,
দৈত্যর মতো মৃত শৈত্যপ্রবাহ
আবার আসবে উত্তরের দিগন্ত কাঁপিয়ে।
দাবদাহে পুড়ে গেলে সবুজ উঠান
আবার হারাতে হবে বাপের জমিন।
ভরা প্লাবনে বসতভিটা ভেঙ্গে গেলে
আরেকবার আঁকড়ে ধরবো মানচিত্রের ভগ্নাবশেষ।
এবার সওদা হবে হিসেব করে,
এক পয়সার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে-
এবার নামবো ময়দানে।
এতোদিনের অবাঞ্ছিত অধিকারের দাবি
বুঝে নিতে হাজির হবে পূর্বপুরুষেরা।
রক্তের সেই ধারা ধমনীতে বইলে
মৃতেরাও ফিরে পাবে জীবনের স্বাদ।
এখন আর চাইলেই ঠকানো যাবে না,
সাদা কাগজে নীল টিপসই
উনুনের আঁচে কাঠ কয়লার মতো পড়বে খসে।
আর দেনাদায়ে বেদখলে শেষ জমিটুকু
প্রাচীরে বাঁধিয়ে দেবো সীমানা কবরে।
এবার আসবে হাতে হাতুড়ি শাবল,
আর জোতদারের সিন্দুকে দেবো
প্রতিশোধের দাউ দাউ আগুন।
এবার কালবোশেখী মাতাল হবার আগে,
পাহাড় ভেঙ্গে পাতাল হবার আগে,
লাঙ্গলের ফলা ভূমি কর্ষণের আগে,
গোলার ধান শুন্য হবার আগে,
গৃহিণীর শেষ বালাজোড়া বন্ধক রাখার আগে,
অকাল ঋণের দায়ে জর্জরিত হবার আগে
অমোঘ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবো
বজ্র কঠিন দুঃসাহসে।
এবার লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে
এবার হিসেব হবে কড়ায় গন্ডায়।