যতো পথে হেঁটে গেছো, যতো দূরে যাবে
ঠিকানা পাবার আগে নিজেকে হারাবে
একা পথ পাড়ি দিতে হারাবে চেতনা
চক্ষু সম্মুখে পাবে 'কামিনী' প্রেরণা
দিবস প্রয়াণে বাঁচি তোমাতে কামিনী
তোমারই কারনে জেগে দীর্ঘ যামিনী।
প্রশান্ত পাড়ি দিয়ে মরুতে পথিক
পেছনে ফেলেছে যতো দাবী জাগতিক
কভু ঘর ছেড়েছিলো কামিনীর তরে
পুনরায় ফিরে আসে ভগ্ন বাসরে
লেখকের লেখণীতে বারে বারে আসে
তাকে তুমি আরো পাবে রসনা বিলাসে
রাজ্য হারিয়ে রাজা ভিখারীর বেশে
কামিনীর সন্ধানে ঘুরে দেশে দেশে
সাধনাতে ছেদ টেনে ব্যর্থ সাধকে
তপস্যা ছেড়ে দিলো মূর্ত যাজকে।
সমতলে বারি আনে জলধি প্রপাত
কৈলাশে হিমবাহ চূর্ণ হঠাৎ
হিমালয়ে বাঁধ ভাঙ্গে বরফের জল
প্লাবণে ভাসিয়ে কূল সিন্ধুতে ঢল
বিস্তারে বনভূমি সবুজের ধারা
উচ্চ পামির হতে তপ্ত সাহারা
উষর উপত্যকা, বিরাণ ভূমিতে
পাথরে ফুটেছে ফুল চরণ চুমিতে
শীতে, তাপে, বর্ষাতে কামিনীর সাথে
নবধারা জলে ভিজি হাত রেখে হাতে।
মহামায়া হাতছানি বিষের বাতাসে
কামিনী হারালো বুঝি দূর পরবাসে
কামিনী যাতনা আর কামিনী সাধনা
কামিনীর তরে ম্লান মিছে আরাধনা
প্রেমিকের চোখে সেতো অচিন রাগিণী
প্রেমেরই অপর নাম বিরহী কামিনী।