এইতো সেদিন সম্মিলিত কন্ঠস্বরের প্রতিধ্বনি,
নতুন করে স্বপ্ন দেখার অভিলাষী বৈতরণী
অতিক্রমে অতর্কিত অভিযানের অভিধানে
শ্লোগানমুখর খরস্রোতা আন্দোলনের রাজকাহিনী।
এ গল্পটির নাম জানো কি?
ইতিহাসের পাতায় পাতায় গল্পগুলো স্বম্মোহনী,
মানুষ দিল আত্মাহুতি, বুঝলো যখন মর্মবাণী।

এমন কথা কক্ষনো কি মুখে আনার উপায় আছে?
লক্ষ কোটি কৃষ্ণচূড়ায় আগুন লাগে বনের গাছে,
রক্তজবা, চম্পা, বকুল; ঘ্রাণ ছড়ালো আমের মুকুল
ফুলের মতো মানুষগুলো তৈরী হলো স্বর্ণছাঁচে।
জল ছাড়া কি মীন আর বাঁচে?
প্রশ্নগুলো যাই রেখে যাই সন্মানিত সুধীর কাছে।

রৌদ্র ছোঁয়ার ইচ্ছে হলে সূর্যকে তাই বলতে পারো,
কাটলে পরে ঘোর কূয়াশা, চার প্রহরে বাজলে বারো,
ঘাসের ডগায় শিশির জমে, ঘরে ফেরার উপক্রমে
ইচ্ছেমতো হাঁটবো পথে, লাগলে সময় লাগবে আরো।
আমার মনের আমিই রাজা...
এদিক ওদিক যেদিক যাবো, শুনবোনা আর নিষেধ কারো।

এই মিছিলেই ফুটছে দেখি ফুলের কুঁড়ি শত শত,
রাজপথে হায় ফুল ফুটেছে, প্রাণের জোয়ার অবিরত,
থাকুক বুকে গভীর ক্ষত, করবোনা আর মাথা নত,
বলতে পারো, একটি শিশুর মুখের হাসির মূল্য কত?
দলিল করে নাও লিখে নাও আমার আছে অর্থ যতো,
আর কি নেবে- চাষের জমি?
বসতবাড়ি, গোয়াল বাছুর- মূল্য কি তার অর্থগত?
তাহার চেয়েও মূল্য অধিক, একটি মরণ মনের মতো।