এতই তুমি স্বার্থপর,
ছল চাতুরীর ভাবধারাতেই কাটিয়ে দিলে জীবনভর,
দ্ব্যর্থভাবে ব্যর্থতাকে আড়াল করে উড়াল দিলে
সরল টাকে গরল বানাও, বিষকে বলো দুধের সর।
চিত্ত তোমার তাশের দেশ,
মিথ্যে কথায় দিনের শুরু, চাতুর্যতায় দিনের শেষ,
কথার পিঠে কথা বানাও – অসংগতি, ধূর্ত অতি
হাজারো দোষ, মুখে মুখোশ- আদ্যপান্ত ছদ্মবেশ।
তোমার কর্মদক্ষতা,
নালিশ সালিশ আর অনুযোগ প্রশ্ন তোলে যোগ্যতা,
দোদুল্যমান ইতিহাসের আবহমান তিক্ততা
কুমন্ত্রণাদাতার সাথে খলনায়কের সখ্যতা।
জীবন তোমার নগণ্য,
পঙ্কিলতার চিহ্ন বুকে চাইছো হতে বরেণ্য!!
হন্য হয়ে বন্য আচার, আঁকড়ে ধরো কুট দুরাচার
জীর্ণ তুমি, শীর্ণ তুমি, ক্ষুদ্রাতি কীট জঘন্য।
তোমার আমার ভিন্নতা,
ছাড়িয়ে যাবে তোমার চেয়েও আমার মনের ঘৃণ্যতা।
অন্ধকারে কে করে বাস? কে বা সাধু, কে বা পিশাচ?
চাইলে তুমি আমার কাছে শিখতে পারো হিংস্রতা।