পুরাতন হে বৃদ্ধ জামবন প্রক্সি দেয়া
ম্যাপল্ বৃক্ষ দল ছল ছল নদীর জলের ধারে
বলে দাও তাঁকে
এ্যাতোটা নিবিড়ে যেন কেউ না আসে বারে বারে !
তার অনুরণনে সমান্তরাল বলে কোনো কিছু নেই
আমি তাঁকে চিনি, চিনেছি জীবন ভরে
সে এক কৌণিক সম্পর্ক বণিকিনী, সে এমনই নিঝুম
যেন তার পায়ের স্লিপারে
কয়েক লিটার হিলিয়াম বাস করে!
সে একদিন মধ্যযাম পেড়িয়ে
নিঃশব্দে বেদির পাশে দাঁড়িয়ে
অবাক চোখে বলেছিলো,
“একি তুমি কেতকী এনেছো পূজার ডালিতে?
কেতকী যে অভিশপ্ত সেটাও তোমায় বলে দিতে হবে?”
আরে, আমরা যে দুজনাই অভিশপ্ত এই নিষিদ্ধ পথে
ত্রিকোণ ফের চতুষ্কোণ জ্যামিতি হয়ে রম্বাস আকারে
যার একটাও কোণ গাণিতিক বিশুদ্ধ সমকোণ নয়
সারাটা জীবন ঝুলে গেলো পিসার হেলানো মিনার হয়ে
পৌনঃপুনিক পরাজয় নিয়ে।
কেতকী আমি চিনিনাকো, আমি যে এখনো সেই
কল্পিত কেয়া পাতা দিয়ে
নৌকা বানিয়ে
এই জীবনের প্রান্তিক সব কিছু ফেলে
এক বিষাদী রূপসী শব ভাসিয়ে দেই প্রতিদিন মোমবাতি জ্বেলে !
তবু তুমি ফিরে আসো তোমার গহীন প্রদীপ নিয়ে,
নিষ্প্রভ করে দাও চন্দ্রালোকে ভেজা এই নিঝুম বনানী
আলোর মিনার হয়ে
অমন হাজার সিঁড়ির ওপরে, রয়েছো দাঁড়িয়ে, হাত বাড়িয়ে,
যেখানে কোনো প্রবীণ আরোহণ নেই, শুধু মাত্র কেতকী প্রতীক
রয়েছে ছড়িয়ে … এদিক সেদিক জন্ম মৃত্যু স্বর্গ মর্ত অভিশপ্ত
সর্বদিক …