যদি কোনোদিন টেলিফোন করো, তার কিছুদিন আগে
আমাকে একটা নদী পাঠিয়ে দিও, জরির ফিতেয় মুড়ে ।
না, না, আঁতকে ওঠোনা, রিয়েল কোনো নদী টদী নয়,
তাহলেতো অতিকায় নীল খাম ভিজে ভিজে যাবে ।।
তোমার আঁচলে আঁকা সেই নদীটার ছবি, নদীর
শরীরে যে এক নদী বয়ে যেতো একদিন শব্দহীন
যে নদী, রূপালী জলের মতো নদী, কাশ ফুলে
পাতিহাঁস, শালুকের ইতিহাস, উপন্যাস লেখিকা
সেই নদী, কতো তার বিচিত্র কথন, ভেজা পাড়ে
উপমা বিহীন নদীর মতন, নাকি জলের মতন নদী
জাপানি সিল্কের গায়, বাতাসে জলের ঘ্রাণ, উৎস কোথায়
জানিনি আমি কোনদিন, জামার বোতাম ঘরে নাকি
সুষম সেই সাঁওতালি মহুয়া অতলে? বুকমার্ক করে দিও
স্টিকি নোটে লিখে "আরে বুদ্ধু, এইতো এখানে, নদীটার উজানের তলে।"
কেন সেটা? (মানে সেলফোনে তোলা সেই আঁচল ছবিটা)
আমি কিছুদিন আগে আগে চাই?
সেই ছবিটার সাথে
আমাকেতো মহড়া দিতে হবে রাতে রাতে, এতো যুগ পরে
কি করে সেই পুরাতন আলাপন হবে!
তোমার কন্ঠ শুনে আমি যদি সব সংলাপ ভুলে যাই,
মহড়াবিহীন আমি যদি মূক বা বধির হয়ে যাই,
রাত দুপুরে উইং হীন বেডরুমে কোনো প্রম্পটার নাই
সব কথা ভুলে গিয়ে ঢোক গিলে শুধু তোতলাই
ছলকে পিছলে যাই তোমার সেই মোহিনী মোহনা বীণা
মতো আঁকা বাঁকা একা একা বসে থাকা বালুচরি
নদীটার জলে, পাহারাবীনা আঁচলে যার এখনো নবীন
জাপানি নদীর প্রিন্ট, চেরি ডাল আঁকা ফুলে ঝরা
টোকিও-টু-কিয়োটো পাতাল রেল যদি হয়ে যায় কেরালার কথাকলি
মুদ্রা ভাঙা জলের ওপরে নদীর আকার জলে
আমি যদি ভেসে যাই তার তলে মহাতলে
“ঘটাং” করে শব্দ তুলে
ল্যান্ড ফোন রেখে দেই একটাও কথা না বলে
তাহলে যে সেটা নিদারুণ অসামাজিক
একটা কিছু হয়ে যাবে।
এই পৃথিবীর সব "হ্যালো" ভেসে যাবে নদীটার জলে ...