রিংটোন শেষে ম্যাসেজ বেজেছে ‘নিরু বাড়ি নেই,
সে কোথায় গিয়েছে কিছুই জানিনা,
তুমি আর যখন তখন
আমাদের এমন করে ফোন করোনা!’
নিরু বাড়ি নেই মানে জলের পাইপ বেয়ে ওঠা
বেগুনী বোগেনভিলা এখন আর তার আঁচল ওড়ায়না।
ব্যালকনি টব থেকে হয়তো সব জুঁই ফুল উড়ে গেছে বহুদূরে
একটি জামার ভেতরে যাবে বলে,
যেতে যেতে পথে হুমড়ি খেয়েছে ।
‘আচ্ছা জুঁই ফুলেরা, তোমরা কি নিরু’র ভেতরে
দল বেঁধে শুয়ে থাকো সেই প্রাঙ্গণে যেখানে
আমার প্রবেশ নিষেধ?’ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে
ওরা তাই হুমড়ি খেয়েছে মেঘদের ডাবল ডেকারে।
জাপানি চুলের কাঁটা ড্রেসিং টেবিলে একা বসে আছে
একটি মাধুরী ফোটানো অতিকায় খোঁপা নিয়ে স্বপ্ন গাঁথবে বলে!
নিরু বাড়ি নেই মানে সারাটা রাতের আকাশে
তারকারা ঝলসে গেছে,
এদিকে অনেক বছর পরে আমার বাগানে
চন্দ্রমল্লিকা বনে ঝড় উঠেছে ভীষণ বাতাসে,
নিরুপমা বাড়ি নেই, সোহিনী মোহিনী নিরু বাড়ি নেই,
সে আর কোনোদিন আসবেনা উইলো ঝালরে
ওর প্রিয় পাখীগুলো আর শুনবে না কোনোদিন
“আমার প্রাণের মাঝে সুধা আছে চাও কি?
হায় বুঝি তার খবর পেলেনা”।
এই, আমার বাগানের চন্দ্রমল্লিকা তোরা আর অমন করে
চন্দ্রের দিকে তাকিয়ে থাকিস না,
সে আসবে না, সে যে আর কোনোদিন চন্দ্রটাকে
ছিঁড়ে নিয়ে আসবেনা, বলবে না, ‘এই নে তোদের দিলুম’,
সে আসবেনা আর কোনোদিন আমার বাগানে।
সারাটা জীবনে! কোনোদিন না … …*
----------------------------------------
*ঋণ স্বীকার করতে খুব লজ্জা এবং দ্বিধা হয়। সেটা সমুদ্র, এটা অতি ক্ষুদ্র নয়ানজুলি; তবুতো ফুটনোটে তারকা না ভাসিয়ে পারছি না …“পমা বাড়ি নেই”: কবি “রিক্লেম” (অন্য একটা সাইটে)