কবে যেন
একটা উছল রঙিন নদী ব্যথিত হয়ে চলে গেছে
তার হ্রদ ছেড়ে লবণ কুড়োতে অনেক দূরত্বে !
শুধু এক সামাজিক নারী বসে ভাবে
মৃদু বাসি গন্ধরাজ হাতে মলিন দুঃখী হাসি হেসে
এতোদিন তার সকল বিষাদী প্রদীপ
জ্বালিয়ে দ্বীপপুঞ্জ ঘিরে,
সে বুঝি বা বিলাসী হয়েছে অবশেষে!
আশেপাশে কোনো শব্দ নেই,
খেয়া বেয়ে কাশবন কেয়াঝোঁপ থেকে
প্রজাপতি আসেনা আর,
নিস্তদ্ধ এপার ওপার
একদিন আকাশে ফুটেছিলো তারকার ফুল, ওরা আজ
অশেষ আঁধারে ! সরু পথ বেয়ে খুব নির্জনে
একজন এসেছিলো, জারুল গুচ্ছ নিয়ে !
হাতে হাত রেখে সেই নারী, যায়নি কোথাও
তার সাথে, নিজস্ব দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে, ‘সকল দুঃখের প্রদীপ
জ্বেলে’ শেষে এক সাংসারিক শ্রান্ত মহিলা হয়ে
হয়তো সে এসেছে হারানো গোধূলি প্রান্তে
আজ এক বৃথা সমর্পণে
সর্বস্ব এক প্রাচীন কথন পূর্ণ ময়ূরপঙ্খী
অন্বেষণে! ...