কেউ যদি এই নদীর শেষ প্রান্তে এসে, মানে প্রায় সমাপ্তি পেরিয়ে
ওপার থেকে কাশবনে এলো চুল নিয়ে
একটু ইশারা দেয়, এই দ্যাখো এক শাড়ি বালুচরি ভরা মণিহারী
অলিগলি আর হরপ্পার প্রাচীন সিঁড়ি খুলে দেবো,
যদি এই পারে এসে হাত ছুঁয়ে দাও!
অথচ তুমি যেটা চাও ভুল করে চাও,
তুমি যেটা ভাবো আর যেমন প্রেমজ ভ্রমণ কামনা করো,
শারীরিক বিল ঝিল ট্র্যাভেল গাইড
আর বোনাফাইড পাসপোর্ট, লিগাল ডকুমেন্টস ছাড়া
তোমার কাম্য বন্দরে যদি তুমি প্রবেশ করোই, তাহলে
সেটাতে তুমি ফাইনালি এক কলস চন্দ্রগ্রহণ ঢেলে দেবে
আমি জানি! তারচে চলোনা বরং পুরোনো দিনের মতো
এক প্লেট ছোলাভাটুরে আর এক কাপ কফি
দুজনা শেয়ার করি, দ্যাখোনা চোখের বিঘোরে
নেমেছে শ্রাবণ, তবুতো আমাদের আর কোনোদিন
প্লাবনে ভেসে যাওয়া হবে না, মানো না মানো
চলোনা বরং মোহনার বাঁকে পরিপূর্ণ এক অতিকায় শঙ্খ কুড়াই,
যদি সেটা পাই,
চলোনা কান পেতে থাকি, মহাকাল ধ্বনি
শুনি কিনা সেটাতে দুজনাই!