কার ছবি জেবে নিয়ে জীবনের চেন টেনে
ট্রেনটাকে থামিয়ে দেব
নদীটার শেষখানে, কলাবতী ফুল নেই যেখানে ?
কাকে দেব বিনি সুতা লাল ঘুড়ি,
একঝুড়ি ইরানী গোলাপ
সেগুলোকে ভালবেসে শূন্যে উড়িয়ে দেবে সে কিশোরী হবার ভাণে,
কলাপাতা শাড়ি কলাবতী জামা আর এ্যারোমা তাঁর
যেন নেচারাল জৈবিক জাফরানি প্রগাঢ় নিবন্ধ লেখে বাতাসের গায়।
চব্বিশ ক্যারাট তার মনে ধরেনি কোনোদিন, সে একদিন সাঁঝে
মাধবী লতার গান গেয়ে এ্যাতোটা কাছে এসেছিলো যে
মনে হয়েছিলো, আমার হাতের রজনীগন্ধা গুচ্ছ
নিজেকে তুচ্ছ ভেবে নিজস্ব ঘ্রাণের বার্তা ফেলে চলে গিয়েছিলো
কালে মহকালে, এবার আমাকে বলো কবে তুমি এনে দেবে
ঢাকা থেকে মনিহারি বেলোয়ারী আর কস্তাপাড় শাড়ি ...
এই বিদেশে?
এই বয়সে এই ঘর বাড়ী ছেড়ে,
জীবনের সব ঘাট, সব হাইওয়ে বেয়ে সমস্ত বিপণী এখন আর
খোঁজার ক্ষমতা নেই, তাই এই শেষ ট্রেনে টিকিট বিহীন
উঠে পড়েছি, যদি এটা একদিন কোনোক্রমে থেমে যায়
কলাবতী নামের একটা স্টেসানে,
যেখানে পাওয়া যেতে পারে এক ঝুড়ি বেলোয়ারী
আর কস্তাপাড় শাড়ি ……………।।