বিব্রত হয়ে
আমাকে মিছে কথা দিয়ে সাজাতে হবেনা!
যদি কোনোদিন পড়ো
যেমন লিখেছি তেমনটাই মেনে নিও
এই বয়সে অমন সব বহুল ব্যবহৃত
মোহিনী চাহনি দিয়ে শব্দ বানিয়ো না,
আমি খুশি হবোনা! আমিতো তোমার চোখের
তারায় প্রাচীন থেকে আদিম ফের নিদ্রার ঘোর,
হাসির ঝিলিক, বেদনা বিঘোর,
ইত্যাদি ইত্যাদি প্রতিটি ঘূর্ণন
এখনো বুকে ধরে রেখেছি !
হ্যাঁ, জানিনা তুমি এখনো কবিতা পড়ো কিনা,
এটাও জানিনা যে আমাকে খুশি নাখুশি করাতে
তোমার এক বিন্দু কিছু যায় আসে কিনা, ভালো না লাগলে
ব্যালকনি থেকে দিও উড়িয়ে, ভোকাট্টা ঘুড়ি হয়ে
ওরা যাবে ফুরিয়ে!
যা লিখেছি সর্বস্ব জলের মতো অবিরল তোমাকে জড়িয়ে,
রূপক বিহীন, তোমার মতোই ঝলসানো অলংকার হীন, তবুতো তুমি
রূপসী হয়ে ঘুরে ফিরে আসো …
কখনো ঢিলে খোঁপা কখনো এলো চুলে যেমতি মেঘ নেমে আসে
সেমতি নিরালা জলের ঢেউ ভাসে আকাশ টা ভেঙে ভেঙে যার
চশমার কাঁচে,
সেই তোমাকে শুধুমাত্র তোমাকেই ঘিরে আমার সমস্ত কবিতা!
ভালো বা মন্দ, বিবমিষা, লবণাক্ত অথবা বড্ড বেশি শরীর
শরীর ঘ্রাণ, তুমি যা ভাবো, ভেবে নিও, কম্পিত হবেনা
এই প্রাণ! আমি যে এখন সর্বস্ব এক নিথর পাথর হয়ে যাবো
ভেবে রেখেছি!