একদিন যদি ঘরের ভেতরে এক নদী চলে আসে
জোয়ারের জলে ঝিল থেকে তুলে আনে
শাড়ি পরা বাতাসির ঝাঁক …………!

নদীর ওপার থেকে, একদিন শতেক মাস
হয়ে গ্যালো
এই স্বপ্ন কেউ শুনে বলেছিলো,
আরে, ওগুলো নাকি পাড়াগাঁর ডাকা ‘বউ মাছ’ !

তার চোখের তারায় তালের শাঁসের মতো ত্রিকোণ-চৌকোণ
কলাবতি ভাঙা স্বচ্ছ চাঁদ দেখে
ভেসে আসা
কচুরি ফুলের নীল আর হিজল পাতারা … … স্তদ্ধ অবাক।

নদীটার এপার থেকে ওপার যদি দূর থেকে
আরো অনেক দূরে,
বহু বহু দূরে চলে যেতে থাকে এঁকে বেঁকে
তাহলে সে তো নিজেই সাগর হবে
মোহনা না পেয়ে ঘরের ভেতরে সে এক উথাল পাথাল
সামুদ্রিক ঝড় তুলে জানালা দেয়াল ভেঙে একাকার
বেকারার সজ্জিত গার্হস্থ্য দ্রব্যাদি, শাখা প্রশাখা ভেসে যাবে;
স্নান ঘরে এক কোটি শঙ্খ ঝিনুক ছানা খাবি খাবে
তামাদি শাটিন বালিশ বিছানা প্রবালের দ্বীপে দ্যাখে
লাল কাঁকড়ার ছিনিমিনি খেলা,
ধারালো পিন কেন কামড়ায়, এক বিনুনি
দড়ির নোঙর গাঁথা সুষম জাহাজঘাট ছেড়ে
এবার বানপ্রস্থে যাবার হয়েছে বেলা!

(পিঠের লোটা কম্বল বলে
আহা সমস্যা কেবল নদীটার এপার ওপার আর এক হলনা,
ওপারতো আরো অপার দূরে গেলো চলে
আলো আঁধারে, বিষাদি শঙ্খ বাজিয়ে
পলে পলে ছিন্ন পাতার পাল তুলে...............
কেন সেটা জানিনা জানিনা ......)