বলো,
তোমার শহরের জলে কী কোনো হাইওয়ে আছে?
জলের তলায় কি রানওয়ে বেয়ে বিমানেরা আসে ?
নাকি রাতের গভীরে সিটি তুলে এক্সপ্রেস ট্রেন চলে যায় ?
সেখানে শাওন ধারায় কি শ্রাবণী নামের কোনো
স্টেশনে চেইন টেনে কেউ নেমে যায়, আর তারপরে
ধপাস করে লাস্ট বগি ফেলে সমস্ত লাগেজ আর যাত্রী নিয়ে
ইঞ্জিনটা দ্রুত মিশে যায় জলের ওপারে এতো এতো দূরে
মাধবী লতার টানে জামরুল বন উন্মন, তুমি কি তখন
শাপলার পাতা দিয়ে আদ্র জামার নিকেতন পাহারা
আরোও বাড়িয়ে দাও ?
তুমি কি সত্যি চাও
চার নাম্বার সচেতন সাইরেন নিয়ে বাজিবে কাহারো বীণা
সাইক্লোন ক্লোন হয়ে
আজ রাতে শূন্য চন্দ্র হাতে নদী বলে কেউ আসবে কিনা
জানিনা জানিনা, অবান্তর গেলো কতো সহস্র দিন
কেউ বলেনা, ‘হে জলের রাণী জলে ঢেউ দিও না',
তোমার প্রাসাদ আরো নির্জন করো জলের তলায়
পাল তুলে দাও, বলে দাও আরাধ্য ঠিকানা খানি
আজ রাতে
আদ্র খোঁপার আড়ালে গাঁথা হবে অজস্র তারকা মাখা
আকাশের ভাঙা ভাঙা আধুরি কাহানি ……