হয়তো চলে যাব পাস্ট হয়ে বাতাসের মাঝে
আর বছরে, আগুনের শূন্যযানে;
কিজানি আর ভেজা হবে কিনা চন্দ্রবিন্দু হয়ে
তোমার প্লাবনে।
তবে জানি তুমি আসবে ফিরে এই জানালায়,
বারান্দায়
দোলনা চেয়ারে ।
মেঘভরা জাপানি খোঁপার পিন
আলগা করে ভিজিয়ে দিতে গিয়ে
হয়তো দেখবে এই বাড়িঘর সব নিরালায়
বসে আছে, নেই কেউ এই বাগানে !
কে যেন ছাই হয়ে গেছে
এর মাঝে
এখানে সেখানে বিধ্বস্ত বাগানে,
মৃত সব গাছ গাছালি …
মালাকর নেই ।
অযত্নে শুকিয়ে যাওয়া কিছু পরাজিতা
অপরাজিতা শবে মাকড়সা জাল
ভাঙা ভাঙা শতছিদ্র প্রবাল দ্বীপ এঁকে রেখেছে পাতায় পাতায়!
সবগুলো শূন্য জল দেবার পাত্র মানে বালতি, ঘটি, বাটি, মগ
তুমি ভরে রেখে যাবে
সেটাও জানি, তবু যেন যেতে যেতে বলো
“দুচ্ছাই, ভেজাবার মতো তেমন কিছুই নাই
সেই এলোমেলো
মানুষটা কোথায় গেলো …
যার সাথে কথা বলা যেতো
অলীক সব শ্যামল তমাল বনে
কোনো কথা না বলে প্রতিটা শ্রাবণে
জলের প্লাবনে …"