মাঝে মাঝে নিরালা গোধূলি বেলায়
একটা ভিন্ন আকাশ দেখি
যেটা কিনা অবিরত ভেঙে যেতে থাকে
খান খান হয়ে বাথরুম আয়না যেন ভেঙে গ্যালো
নয়বা ক্রিস্টাল গ্লাস ঝিমুনি খেয়ে ঝরে গেলো
কারো হাত থেকে, আনমনা বেকসুর নিস্তদ্ধ গ্রানাইট!
এদিকে নাইট ক্লাবে ট্রাম্পেট মুখে এক যুবক একদিন বেলজিয়াম
ঝাড়বাতি দেখে সুউচ্চ সিলিঙের দিকে ঝড় তুলতে গিয়েছিলো,
সেটাকে আকাশ ভেবে, সেটা ভেঙে ঝন্ ঝন্, মেঝে ভরা
কাঁচ, রক্ত ঝরা বিষণ্ণ রাতে আপাদমস্তক স্বচ্ছ টাইটস্ পরা কিছু ব্যালেরিনা
সেইসব কাঁচ তুলে নিয়েছিলো তাদের অনাবিল মোহর মতো করতলে।
আমি ভাবি আহা কারো চশমার কাঁচ যদি
সর্বস্ব উদোম হয়ে তাঁর উপল আনোখি তলে উপতলে
অমন করেই ভেঙে গিয়ে আকাশী কালার
শতেক সহস্র মানচিত্র ঝরোকা আঁকে
আমার এই কবিতা পড়ে, তাহলে আমিও তুলে
নেবো তাঁর সমস্ত মোহর কণা, সব সামাজিক
রুল টুল ভেঙে … এক লক্ষ হীরক কণিকা
রেখে দেব এক নীলাভ মহল বানিয়ে
বুকের ভেতরে আজ থেকে সমাপ্তি অবধি
সেগুলোকে এক ভিন্ন আকাশ টুকরো ভেবে………!