সে রাতের বেলায় আমার ডটপেনের ক্যাপ খুলতে চায়,
সে বলে, আমার লেখক ঠিক ঠাক ক্যাপ খুলতে জানেনা
আবার লেখা শেষ হলে ক্যাপটা বন্ধ করতেও জানেনা।
এদিকে সোনালী চন্দ্রটা ভদ্রমহিলা হয়ে বাতায়নে বসে থাকে
কখন মুক্তি পাবে আঠালো বাতায়ন আলিঙ্গন থেকে,
তার আর কোনো কবিতার নেই প্রয়োজন, সে চলে যেতে চায়
আমার কলম থেকে বহুদূরে যেখানে সব নির্জন গাছ গাছালি
অরণ্য হয়ে চেয়ে আছে বেশুমার চন্দ্রাভ মহা বলয়ে !
তখন আমি তাঁকে নিয়ে নিজের সাথেই নিজে বাণিজ্য করি সেইসব হাটে বাজারে
সস্তা বেলোয়ারী কিনি, কানপাশা তুলে নেই রাস্তার বিছানো চাদর থেকে,
ভাবি আমার আঁকাবাঁকা কিছুটা অতৃপ্তা কবিতাখানি পরে নেবে এই বাহারি অলংকার।
বসন্ত বাহার বেজে উঠবে তার কাঁকনে ! সে কথা বলেনা, জলের মতো ঘুরে ঘুরে
সে কথা বলেনা।
নিজের পুরোনো সব গার্বেজ কবিতার আংশিক অশরীরী শরীর দিয়ে
আশ্চর্য এক মডার্ন শপিং মল বানিয়ে ইতিউতি করি, দিব্যি ঘুরিফিরি
ফুডকোর্টে লাইন দিয়ে সোরগোলে গোলগাপ্পা খাই তার সাথে, সে আঁচলের
সোনা সোনা কোনা দিয়ে আমার মুখ থেকে পানিপুরি পানি মুছে দেয়!
এক গ্লাস ফ্রেস কোকাকোলা আর একটা পাইপ নিয়ে সে বলে চলো আমরা
কলকাতা থেকে লাল বটফল পথে হেঁটে যাচ্ছি ভাবি, বোলপুর এক্সপ্রেস
এ সি কামড়ার কামরাঙা টিকিট পকেটে নিয়ে ভুল ট্রেনে উঠে টেনেটুনে বর্ডার পেরিয়ে
শ্রীহট্ট চলে যাই, কোকের তীব্র ঝাঁঝে কবিতাটা চোখ বুজে মাওয়া ঘাটে ইলিশ বেছে
নিতে চায়, হায়, কবিতা কবিতা আমার কবিতা, সে শচী দেবীর মন্দির আর
হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজারে আমাকে নিয়ে যেতে চায়, গজার মাছের ইতিহাসে
জালালী কবুতরের বাকুম বুকুম ভূমিকা শুনি আর ভাবি
“আর কত দূরে নিয়ে যাবে মোরে হে সুন্দরী?
বলো কোন্ পার ভিড়িবে তোমার সোনার তরী।”
আমার কবিতা, সে এসেও আসেনা …।
অথবা হয়তোবা কোনোদিন আসেই নি, কি জানি!
আমি হয়তোবা এদ্দিন শুধু তার পদধ্বনি শুনেছি শুনেছি
ডটপেন নিবে তাঁকে নোঙর বানিয়ে ঘুরেছি ফিরেছি
তাহলেতো সবই আমার বেগানা এবং বেকসুর কল্পনা!