কখনো ভেবেছো? আমরা কেউ কেউ গত জন্মের নিরাশা দেখি গাছের বাকলে
অন্য কোনো দূরে পাহাড়ে বৃষ্টি নেমেছে ভেবে বারান্দায় ভিজে যাই সপ সপে
শাড়ি দেখে কারো ছাদে, রাত্তিরে বিভাসিত অন্ধকার চন্দগ্রহণে! এই উত্তরণে
পাশের ঘাটে স্নান করে এসে নদীটার জলে
কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ এসে লুকিয়ে থাকে রাত্তিরে আমাদের বালিশের তলে,
নিদ্রায় বিঘোর কাহাকে চুরি করে প্রগাঢ় চুম্বন করতে গিয়ে নিশানা
মিস্ করে দেখি ঘরেতে কেউ নেই আষাঢ় নেমেছে যেন দেয়ালের গায়
একরাশি বাসি বায়না করা হাসি, আয়নায় পুরোনো শুকনো বকুল মালা ঝুলে আছে
এক গুছি মোনালিসা কুহকের তলে ।

যশোর চিরুনি দিয়ে একদিন বিনুনি বাঁধতে গিয়ে কারো একটা চুলের অলীক থ্রেডে
মেঘ নেমেছে ভেবে শাটিনের নিচে রেখে দিতে গিয়ে দেখি এক ফালি
চাঁদ শুয়ে আছে
কিছু কলঙ্ক আলগা করে
নীরবে নিভৃতে সব পরিধান আর বোতামের ঘর ইত্যাদি ফিতে টিতে খুলে।

গতকাল বাড়ির মর্টগেজ ডিউ ডেট ছিলো, ভুলে যাই ইলেকট্রিক বিল,
নাতনিটা ছবি সহ ‘হ্যারি পটার’ বই চেয়ে টপাস টপাস কিস খেয়েছিলো,
সেটা সহ ত্রৈমাসিক প্রপার্টি ট্যাক্স দেয়া হয় নাই
এই আনন্দভূবনে আমরা কেউ কেউ বাস্তব থেকে খুব দূরে সরে যাই
অনেক অনেক দিন মরে থেকে ফের বেঁচে উঠি মাঝে মাঝে
অথবা উল্টোটাও হতে পারে মানে বেঁচে বেঁচে মরে উঠি
কবরে জানালা হবেনা ভেবেও কান পেতে থাকি যদি
রাত্রি থেকে বিকেল অবধি
শুনি একটা ধাতব বিমান ধরণী কাঁপিয়ে উড়ে যায় রানওয়ে বেয়ে
আকাশের দিকে মেঘের আড়ালে
এক পা বাড়ালে আকাশলীনার বাড়ী
দেখি কোনো নদী নেই কেবল আগুনে পুড়ে যেন ভস্ম করে দেবে এই পৃথিবী
এক্ষুনি
আপনাদের মহৎ সর্বংসহা উনি …