মায়ের জন্য ভালবাসা নয় একদিন
মা তোমায় ভালবাসি আমি প্রতিদিন।
যেদিন একত্রিত হলো দুই ফোঁটা পানি
সেদিন থেকে মায়ের বুকে ভালবাসার খনি,
ধীরে আমি হলাম বড় তোমার ডিম্বাশয়ে
পানি থেকে মানুষ হলাম তোমার রক্ত খেয়ে,
খেলার ছলে মেরেছিলাম কলিজাতে লাথি
আমায় পেটে নিয়ে অশ্রু হলো মায়ের সাথী।
ভূমিষ্ঠ হলাম যেদিন আমি পৃথিবীতে
বাপকে ডেকে নিল মায়ে ক্ষমা নিতে,
স্বামীর কাছে শেষ মিনতি করে মায়ে কয়
আমি মরলে বা'জান যেন কষ্ট নাহি পায়,
মাথায় হাত রেখে আমায় কথা দাও-ওগো স্বামী
যদি মরি বাচ্চাকে মোর মানুষ করবে তুমি।
জন্মের সময় তিন লাথিতে কলিজা চৌচির
বেহুশ হয়ে গেছে যেন কেউ মেরেছে তীর,
মাঠিতে পড়ে যখন ডেকেছি অাল্লাহ
আনন্দে নেঁচেছে যেন পুরো মহল্লা,
ছেড়া ত্যানা পেঁচিয়ে মায়ে বুকে টেনে নিল
রক্ত মাখা শরীরটাকে চুমুতে শুকিয়ে দিলো।
বাপে বুকে রাখে আমায়, মায়ে কলিজাতে
দু'জন মিলে ভেজা কাঁথায় শোয় শীতের রাতে,
বুকের খাবার দিলো মায়ে মুখের খাবার বাপে
তাদের খাবার কেড়ে নিলে ছাড়বে না যে পাপে।
নিজে ছেড়া কাপড় পড়ে, আমায় দিল রঙ্গিন সাজ
সেই মায়ের ঠিকানা কেন হলো বৃদ্ধাশ্রমে আজ?
সেথায়ে বসে বলে মায়ে- হায় খোদা দয়াময়,
খোকা যেন মোর দুধে ভাতে রয়।
এত কষ্ট করলো যে মা
আমি তাহার কেমন ছা?
একটা দিনই দিলাম শুধু সেই মায়ের তরে
আমার কান্ড দেখে খোদার আরশ যায় যে নড়ে,
মায়ের মর্ম বুঝি তারাই
জনম দুখি মা যাহার নাই,
খোদার কাছে ক্ষমা চাই
মায়ের সেবার সুযোগ যেন পাই,
তোমার কাছে ফরিয়াদ নিয়ে, এই বান্দা নগণ্য
মায়ের পায়ে ঠাই দিয়ে মোর জন্ম করো ধন্য।
কুড়িগ্রাম
১১ মে ২০২০ইং
রাত্রি ১২.০৫ ঘটিকা