বন্যা আর খরার পরে মঙ্গা ও হাহাকার,
একমাত্র জেলা কুড়িগ্রাম নাম তার।
বর্ষা মৌসুম এলে মোরা থাকি পানির তলে
গ্রীষ্ম মৌসুমে মাঠ খাঁ খাঁ করে খরার কবলে।
কেউ বাঁচে অর্ধাহারে
কেউ মরে অনাহারে,
তবু কোন সরকারেরই নজর নাহি পড়ে
স্থানীয় নেতাদের টনক নাহি নড়ে।
আছি মোরা কষ্ঠে রে ভাই
দু:খের কথা কার কাছে কই,
সংসদে যারেই পাঠাই
কথা বলার মুরদ তার নাই,
স্পিকারকে সম্বোধনে যাদের দাঁত খোলে
কেমন করে সংসদে তারা, মোদের কথা বলে?
পাঁজামার ডোর খুলে বাঁধি মোরা মশারী
নেতারা কয়, আমরা নাকি খাবার রপ্তানী করি।
যাদের নাই পেটে ভাত
একবেলা খেতেই কুপোকাত,
তারাই হলাম খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ
শুনে নেত্রী হলেন ধন্য,
বললেন যারা এই মিথ্যা কথা
তারাই নাকি মোদের নেতা।
নেতা তোমার খ্যাতা পুড়ি
করছো আমার অধিকার চুরি,
কোথায় রিলিফ কোথায় ত্রাণ?
গরীবের হাতে সব তুলে দেন,
খেয়ে যারা বাড়িয়েছেন ভুড়ি
গরীব দিবে সুরসুরি,
সঠিক তথ্য জাতিকে জানান
তাড়াতাড়ি বাজেট বাড়ান।
নইলে যেদিন মরবে চাষা
হারিয়ে ফেলবে মুখের ভাষা,
দেয়ালে যেদিন ঠেকবে পিঠ
লাঠি হাতে নিবে ঠিক।
সেদিন তারা চিনবে না লাঙল, নৌকা, ধানের শীষ
তুলবে ফণা, ছড়াবে বিষ।
মিনতি নেতা বদলাও সাজ
জনতার শ্লোগাণ শোন আজ-
করুনা নয়, চাই কাম
দরিদ্রমুক্ত প্রিয় কুড়িগ্রাম।।
কুড়িগ্রাম
১০মে ২০২০ইং
রাত্রি ১.৩০ঘটিকা।
কবিতাটি আমার নিজ জেলা, কুড়িগ্রামের মেহনতী মানুষকে উৎস্বর্গকৃত।