শাহজাহান সিরাজ, শাহীন
%%%%%%%%%%%%%%%!
যে নিলর্জ্জ স্ত্রীর স্বামীর চেয়ে অন্য পর-পুরুষের প্রতি আগ্রহ, শ্রদ্ধা, ভক্তি, ভালোবাসা, মনের টান ও অন্য নাগর আসলে বা আসার প্রতিক্ষায় অস্থিরতা বেশি সে কেমন নারী তা তো বুঝায় যায়- সেই তো অভাগা স্বামী। অথচ, স্বামী পা নিচে নাকি পর পুরুষের পা নিচে বেহস্ত আল্লাহ মালুম, তিনিই ভালো জানেন। হায়রে পাগড়ি পড়া বেকুবের ছদ্মবেশী নোংরা পরিবারের সন্তান। তার আবার কিসের সংসার, কিসের আবার স্বামীর দায়িত্ব। তাকে সেটাই করে খেতে দেওয়া উচিৎ। অতএব তুমি তাই কর। যাদেরকে জীবনের সাথে জড়ালে তাদের মান সম্মানের কথা একবারো ভাবলে না। ভাবছো তারা তো মান-সম্মানের ভয়ে মুখ খুলতে পারবে না, বাবা-মার বুদ্ধিমতি মেয়েদের এতটা নোংরা। কলংকিত পরিবারের কলংকিত মেয়েরা কখনো ঘরের দরজা খুলে রাখে, মই পেতে রাখে ছাদের উপরে আত্ম গোপন করাতে, খাটে নিচে কিংবা পরিবারের সদস্যরা আয়ের মানুষকে লুকিয়ে রাখে, অথবা কাজ শেষে আলখাল্লার আড়ালে করে তাকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে। নইলে ফরফিয়াটা অবশ্যই দেয়া হতো, তারিখ ভিন্ন ততারিখে কাউকে ডাকা হহতো না, মইটা অবশ্যই সরিয়ে রাখত, পায়খানায় নিরাপত্তা বজায় রেখে কাউকে ডেকে নিয়ে যেত, মনে থাকলে যা সম্ভব হয়। আগে থেকে যা ঘটিয়ে এসেছে- তাই হচ্ছে; এ আর নতুন কি। নারী,' গাড়ি ও বাড়ি যখন যার হাতে তখন তার। অতএব, তুমি হাতে নেই, অন্য কারো। তাই তো বলো দিনের কত ঘন্টাই বা বাড়িতে থাক; চাহিদা মেটাতে না পারলে তো অন্যের দ্বারা চাহিদা মেঠাব। তোমার বাধাতে কি যায় আসে। এক রাতের এক জন খরিদারে তো আর জীবন চলে না। প্রতি রাতে তিন-চারটে নতুন নতুন খরিদ্দার চাই। সে বাবা কিংবা ভাই হলেও চলবে, চাচা তো ভাই, খালাতো ভাই, মামাতো ভাই অথবা মাঝির ছেলে ভাতিজা নয়তো নেতার ছেলে ছোট ভাই, স্বামীর ভাই ভাসুরেই হোক- সন্দেহ যখন করোই তখন পনের তারিখে ডাকা ভাইটারেই পায়খানায় দিয়ে দিলাম। গাছে চড়ে দেহ ভক্ষন করে চলেই গেল আর সকালে দেখা করতে গিয়ে তিনি বাড়িতে হাজির; কোন রকমে মেয়ে মারফত খবর পেয়ে তাড়াহুড়া করে বাড়িতে এসে বিছানায় শুয়ে কাহিনীর মোর ঘোরা; বেহায়ারে ধরতে পারে কে? সে জন্যেই বু্ঝি মোটর সাইকেলের শব্দ শুনে এত অস্তিরতা, অন্যের আসার অপেক্ষায় যার মন এত অস্তির, সেই নাকি বিবাহিত নারী। সেই করবে স্বামীর ঘর সংসার। সেই বাংলা মদ খাওয়ার বাড়িতেই স্থান নেয়া তাতে তো যৌনের গোপন রহস্য, তার উপর সেট করা ডাকপিয়নরা তো আছে। বোঝ তুমি কোন জাতের বেশ্যা নারী। কার জন্য তাোমার মনে কেমন ভালোবাসা; কার বউ কার কাছে দেহ বরন। তার আবার স্বামীর অধিকার, কি প্রয়োজন ছিল বিয়ে বসার; যার বাপের মেয়ের রাতের টাকা খাওয়ার এত শখ, কী দরকার' ছিল বিয়ে দেওয়ার। ও ভুলেই তো গেছি নোংরা পরিবারের নোংরামি চালাতে এ যে সামাজিক দায়বদ্ধতা। স্বামী পাশে ছুয়ে যখন কান্ড ঘটানো যায়- তাতে কি ভাগ্নের মতো তাকেও ডেকে না নিলেই তো পারো কতক্ষন খোলা মাঠে মইয়ে চড়ার চাচাতো ভাইয়ের সাথে হুড়াহুড়ি করে জব্দ সহ্য করবে। ইচ্ছে পূরন হলে তো পূর্বের প্রেমিক আর আসবে না; প্রতি বৃহস্পতিবারি তো' 'আসে যত দিন থাকে ততদিনেই তো আয়! হাজার হলে চাচাতো ভাই বলে কথা চামড়ার জিনিসে তো আর ক্ষয় যাবে না, স্বামীকে তো কোন রকমে বুঝ দিলে হলো; বাড়ির বাকিরা তো জানে তুমি কতটা মন্দের ভালো। সে রাতেও যেমন তিন জনের সাথে চললো দেহ সম্পর্ক; প্রথম প্রেমের দুলা ভাইদের কথা মনে পড়লে তো অন্তর জ্বলে উঠে- তাদের সাথে দেহের ছিল গভীর মাখামাখি, স্বামীর দুই দুলা ভাই তো আছেই ( স্বামী জাগি), বিডিআর প্রেমিক আর কলেজ বন্ধু, ঢাকাইয়া বেটাদের তো ছেড়েই এসেছি আর আরও কত ধরনের ভাই বন্ধু আছেই। 'যখন যাকে নোংরা চোখে ভালো লেগেছে, নোংরা মন তাকে উজাড় বরন করেছে। সম্পর্কে কী যায় আসে, নোংরা পরিবারে জন্ম যার তার তো বাপ-মায়ের আদেশ। টাকা আয় করা' কথা বলে তো বিষয়, সমাজে স্বামী নামে তো একটা বস্তু কাষ্ঠ সাইন বোর্ড আছেই; সেটাকে লাইসেন্স বানিয়েই না হয় চলবো। খোলসের আবরনে তাই বাবা করে মুন্সিগিরি আর মেয়ে দিনে ঘুমায়- রাতে চলে দেহ ব্যবসা। স্বামী চলে গেলে না থেকে গেল তাতে কি যায় আসে। তাছাড়া স্বামীকে বিরক্ত করার জন্য তো জব্দের কৌশল জানাই আছেই, অমাপা চালের ভাত তো অবৈধরাই খাবে- স্বামীর তাতে কিসের অধিকার। পছন্দ না হলে বাপ মাকে বলেই দিতে পারো, এ স্বামী হাতে আমার জীবন চলবে না। এত নাটকীয়তার কী দরকার। খাট শুয়েও তো কমরটা আলগাভাবে বাকিয়ে নাগরের সাথে তৃষ্ণা মেটাও। পরের টিপুনিতে এত মজা। না কাজের সময় বিরক্ত করো না, ভালো লাগে না। তাই তো স্বামীর গা চেপে ধরে উঠতে বাধা, আলো জ্বালাতে বাধা অথবা বিছানার পাশে কোথাও দেখতেও বাধা। বাপের আদেশ বেশ্যাবৃত্তি করার মত বিনা পয়সার ব্যবসা আর নেই। তাই স্বামীকে বিছানায় রেখেও প্রতি রাতে নতুন মুখকে স্বামী ভেবে; তার সাথে সহবাস। পবিবারে সাহায্যকারি সদস্যরা তো আছেন। যখন যে অভিনয় প্রয়োজন তাতো করতেই পারে। তাই তো মেয়েকে পাহাড়ায় রেখে প্রস্রাব পায়খানার ছলে ঘরের পিছনে অথবা পায়খানায় ছলে অশ্লীলতার দেহখন্ডন; নতুবা স্বামীকে ঘুমিয়ে ব্যবসা।' তবু বাপকে টাকা দিতেই হবে নইলে যে বেইজ্জতি খোটা খেতে হবে। স্বামী তাতে টের পেলে সন্দেহ ডোরে অবিশ্বাসী বলে জাহির করে নিজের সততা জাহির করা। কখনো অঝর নয়নে কাঁদতে থাকা; অসুস্থার ভান করা আরও কত কী? তার' উপর ধরতে না পারলে বাহাদুুরি তো আছে। তিনি কতটা নোংরা দামের সৎ। অভাবি সংসার, হাজার হলেও বাপ বলে তো কথা; তাছাড়া এত দিনের অভ্যাস, সহসা পাল্টে কেমনে। টাটকা টাকা খেয়ে সবার ঢোর মোটা হয়েছে? তাকে কি আর ছাড়া যায়। নিজের চাহিদা না দেখালে কি আর কেউ পাত্তা পায়। আসলে নিজের ইচ্ছা থাকলে যা সম্ভব হয়- তাই হচ্ছে। সে আবার নাকি মেয়ের মা, আসলে মনে জানে পাপ আর মায়ে জানে বাপ, অন্যের মত আমিও থেকেছি। ব্যতিক্রম শুধু দলিল মওলানার বল মাত্র, নয় অন্যের মত সবি ঠিক আছে। এত গড়মিলে মাঝেও কত কি সম্ভব তা মালিক ভালো জানে।
মাঝে মধ্যে যদিও নিজের চোখ টিপনীতে খরিদারকে কাজে লাগিয়ে দু'এক জনের দ্বারা স্বামীকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা। তবুও তারাও তো খরিদ্দার বটে; একদিনের জন্য হলেও তো একে বিছানায় গলাগলি ছিল।বাজারের হকার দিয়ে কী আর ভালো ঔষুধ বিক্রি হয়। যে পিতা- মাতা তার সন্তানাদিকে সৎ কাজে উপদেশ ও অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকার র্নিদেশ দেয় না; বরং উৎসাহিত করে সে তো পিতা- মাতা নামের কংলঙ্ক।সে যতই লম্বা লম্বা লেবাজ ধারন করুক না কেন? সে নিঃসন্দেহে ছদ্মবেশী শয়তান।আর ধর্মকে ব্যবহার করে যারা এ রকম কান্ড করে তারা কখনোই ভালো হতে পারে না। যে ব্যক্তিদের সম্মান পাওয়ার মত নিম্নতম যোগ্যতা নেই, তাকে সম্মান করা নিচক তেল মারার সামিল- শুধু লোক দেখানো বিদ্যা। মনের ভিতর থেকে যে ভালোবাসা জন্ম নেয়, সেটাই তো প্রকৃত ভালোবাসা। তাছাড়া ন্যায়ের শত্রু অন্যায়, সাধুর শত্রু শয়তায়। ভালোর শত্রু মন্দ। মেয়ের প্রশংসায় গ্রামবাসি অতিষ্ট, পচা জিনিস যেমন দোকানি গলা ফাটিয়ে বিক্রি করে, তেমনি তার সম্পর্কে তার মা বাপের বয়ান। তার মেয়ে রাতে ঘুমালে দেও দুষ্ট এসে ভর করে, কত কি শেখায়। কত কি খাওয়ায়, কত কি দিয়ে যায় বলেই খালাস বোকা জামাইকে। অগতা লাউরে গতাতে এমন ভন্ডামির আশ্রয়। মেয়ের বেশ্যাবৃত্তিকে জ্যান্ত রাখতে এসব বলা। মেয়ে বিড়িবিড়য়ে কথা বলে পরক্রীয়া ব্যক্তির সাথে, এখানে দেবে না বাইরে আসবে, তোমার জন্য এটা এনেছি সেটা এনেছি, কত দিতে হবে; কখনো বা তার কথা শুনে হাসে নয়ত খাটেই দেহ উজাড় করে খানাবিনা রেখে যায় আর মা- বাপ ওসব বাতেলা ঝাড়ে। ও অসহ্য ওরা পারেও বটে, অন্যের জীবনকে বিভৎস শিকায় জ্বালাতে। আসলে স্বামী কি তারা তার মর্ম বোঝা না প্রতি রাতেই যারা হাত বদল হয়, জঘন্য বেশ্যারা....। এই তো সেদিনো স্বামীর বাডি পিছনে চললো নাগড়ের দোয়ারকিতে গড়মাগড়মি হাসি তিনি জিজ্ঞাস করলে মুখ ভ্যাংচিয়ে এড়িয়ে যাওয়া, কতজনে শোয়া ঘরের পাশে এসে ডেকে যায়, দাদির ঘরের পিছন, পায়খানা, মাচা ঘর, স্বামী বাড়িতে না থাকা সন্ধা ও বিকাল সময়, ঘুম থেকে উঠে "তার সাথে বাড়ি পিছনে দেখা করে, আর দুই সহকারী চাচি তো আছেই আরও কত কি নোংরা ব্যাপার.... নিজের চোখ টিপনিতে অবাস্তবরূপে অনেক কিছুই উপস্থাপন কর মুখোশধারী শয়তানের মুখোশ আজ উন্মোচিত তোমার নিষিদ্ধরূপের নিশুদ্ধাচার তাই তো নেতার ছেলে ঘরে বাড়িতে আছি জেনে সেই স্বভাবটাই করলে। হায়রে ভগবানের লীলা বোঝা বড় দায়। কলেতে পানি আনার ছলে কত নাটকীয়তা। কল্পনা করতেও অবাক লাগে তুই কতটা বেহায়া; কলের পাড় থেকে অথবা বাড়ির পিছন থেকে নাগরের ডাককে শায় দিয়ে সে ঘরেও চলে নগ্ন নোংরামি, অনেক সময় ঘর থেকেও ডেকে নিয়ে যায়। নিজের ইচ্ছা আর নোংরামি মনোভাব থাকলে এমনিতো হয়- ধিক শত ধিক বেশ্যার মানসিকতাকে। তোরা তো তিন শ্বাশুড়ী বউ সেই জাতের মোর কথা কইলে তোর কথা কইম ডাইলোত যে ছিকন পড়ছে এক গালা তারো কথা কইম। তাই তো" সহায়ক ভুমিকায় চলে একে অন্যের নষ্টামী। যাকেই বেশি ঘৃনার নাটক দেখাও তার সাথেই বেশি গলাগলি। কেননা তারে কাষ্টমার জোড়ার আর নিরাপত্তা পাহাড়ায় সর্বদা নিয়োজিত। কী লাভ হলো কপালের চুমোয় যেই লাউ তুমি সেই কদু। মীর জাফর আর ঘোষেটি বেগম যেমন বাংলার শেষ নবাব সিরাজ উদ্দৌল্লার সাথে বেইমানি করেছিল, পাক কোরআনের উপর হাত রেখে শপথ করে ভারতবর্ষকে পরাজিত করেছিল; তেমনি তোমার অবস্থান। যখন যা করেছ অপবাদ বলে এড়িয়ে অবাদে চালাচ্ছ বেশ্যাবৃত্তি। বলে হায়রে জীবন কার বুকে পাবি ঠাই তিলে তিলে মরা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। যে নারী তার লজ্জা স্থানকে হেফাজত করে না, সে তো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। যে বেলজ্জা নারী বাইরের সৌন্দর্য্য আর আরাম আয়েশ ধন দৌলতের আশায় নিজের সর্বস্বঃ বিলিয়ে দেয়, সে স্বার্থপর নারী তো নিজের প্রয়োজনে সব কিছু করতে পারে। স্ত্রী কাছে স্বামীর এতো করুণ উপহার।