অপ্রকাশিতব্য
রংপুরি আঞ্চলিক ভাষায় আঙ্গিকে রচিত
(“প্রবাদে কাব্য কথা”-কাব্যগ্রন্থ হতে...)
কাল্লার (মাথার) উপরোত (উপরে) কাউয়ার (কাকের) কা,
বুড়ে (বয়স্ক নারী) মা’র আল্লা আল্লা (কত) কামনা।
ক্যাইবা (কেবা) মইলো (মারা গেল) কিবা হইলো (হলো),
কার কপালোত (কপালে) শনির-ঘা (অশুভ সংকেত)।
ছাওয়ার (বাচ্চার) কান্দন (কাঁদে), দ্যাওয়ার (আকাশ) কান্দন-
দ্যাশ (দেশ) শাসনের বুড়া-ছাওয়ার ছোটন।
আইলো (এলো) রে খানের মামা।
দ্যাশে বাইজছে (বাজে) কাইটেল (বিপদের আশঙ্কা),
জিয়ার রেড়িওত (রেড়ি) মুজিবের জেল;
হয়তো হইবে দাঙ্গামা।
দশার (বিপদ) নাই হাত পাও,
কথার নাই বাপ-মাও।
ঝগড়ু ম্যাঁও (বিড়াল) কান্দে,
কুত্তা (কুকুর)-বিলাই (বিড়াল) মুখোত পড়ি,
বেমালুক ছুটে নন্দে।
উপরোত করি চড়াইর (মুরগী) পা,
অশুভ কান্দনে কুত্তা ভোকে (ডাকে)।
হুচুকি দ্যাওয়ার অবত্তরি ধা;
ডুকরি ডুকরি ডাকে।
অইদ (রোদ)-ঝড়ির ঢংয়ের প্যাকনা,
গারোয়ার বিয়্যার বায়না।
চন্দ্র-ধনুক অং (রং) মাখিয়া,
ক্যানবা দ্যাখায় ঢং অ্যাকিয়া।
ঘ্যাতোর-ঘোতর (ব্যাঙের ডাক) ঢোর ফুলিয়্যা,
বাইসেলি ব্যাঙ ব্যাঁকে-
তারো বিয়্যায়-
সাইরের গিদালীরা (সহকারী গায়ক) ডাকে।
গারোয়া করে-
সাডিয়া পাক্ পাক্ (শিয়ালের ডাক)
ধান পাকোনের পইলো (পড়ে) ডাক।
অল্প শোকোত (শোকে) কাতর বধু,
বেশি শোকোত পাথর;
ক্যানবা উঠে শক্কুনি ঝোঁ, উরত্তি (উড়ন্ত) পাখি ডাকে- কাঁচা কাঁঠল, খাইস না ফজল, ডাকতার কাবু মইরা যাবু, ছকিনার মাও গো, দ্যাও খেন দাও গো, মাথা কাঠোং, ওয়ু করং নামায পড়ং....।