ব্যস্ততার ভারে অনেক কিছুই হারায়,
দায়িত্ব জ্ঞানহীন চোরাবালিতে...।
অচেনা হেয়ালী দস্যুদানব নগ্নজালে,
ছিন্নবস্ত্র, জীর্ণদেহ আর ফুটো চালার জল চুঁয়ে,
গা-ভিজে হিমে কাতরায় অপেক্ষা প্রহর;
তবুও ছনের ফাঁকে- চাঁদ দর্শন কল্পনায় বিভোর ক্ষণিক প্রিয়সী...।
কে-যে কিসেতে সুখ পায়-
বিচিত্র ভাবনার মোড়কে আবৃত
পরম আদরে ঢাকা- প্রশান্ত প্রেম-ডোর
দৃষ্টিকোণে নিরক্ষে সৃজনশালার মনোমুগ্ধ কৌশলী পরিকল্পনা;
আত্মতৃপ্তি মেটায়- কে না জানে, সে মহিমা’।
কখনো বা গুড়ু গুড়ু মেঘমালার আত্মচিৎকার,
নির্জীবে দিশা জাগে, দিকহারা সন্ধানী পথিক
এক’ছটা আশার প্রদীপ জ্বলতে দেখে মুক্ত সুরক্ষার লালসে
শামুকের মুখের দু’পাল্লা খামটি মারে, ঝড়ের ক্ষণিক গর্জন
হঠাৎ বিজলী চমক; আধারে জ্যোতিদূত হয়ে ফিরে অদৃশ্যে লুকায়।
শ্রদ্ধার আসনে বসে, নিন্দাজ্ঞাপন আর আগ্রহ ব্যক্তের কুশলি নিবেদন
আপন চরিতার্থ সাধনের তরে..তবুও মুদ্রার পিঠে বহে দ্বি-স্রোতা জল।
অসহ্য যন্ত্রনার পরিত্রানের আঁশে-
ঘামঝরা দেহে অগ্নিঝরা হুংকার ক্লান্ত হতে না হতেই
যৌবন ফিরে পেতে চায় আঠার, নবোদ্যমে জাগে স্মৃতিপট...।
স্বপ্ন-গালিচায় তনু মোড়ে বক্ষ জুড়ায়, বসন্তের আগমনে দুখ-কষ্ট ঝরে
হাস্যরসে বায়ূদৃশ্যে মিশে যায়- আকাঙ্খিত প্রতীক্ষায় মাঝিপাল্লার ভীড়ে..।
অলৌখিক কান্ডঘাতে ক্ষণিকে গর্জে উঠে অশান্ত হাওয়া
এতটুকু ছোটগৃহে-
সর্প-বিচ্ছু আর শয়তানের দংশন; তার উপর অনলে পোড়া ঝাউবনের
সংস্পর্শে কাটে নির্ঘুম অগন্য রজনী...।
কাষ্ঠদাহে মুখ থুবড়ে আঁখি চিরে রক্তঝরে,
হৃদয় প্রাঙ্গন কৃষ্ণচূড়ার বর্ণ ছুঁয়ে চাষে
নদীগর্ভে দু’ধারে ভাঙ্গন ধ্বংসলীলার ক্রীড়াচক্রে বিনাস করে
সমুদ্র গভীরে ঠাই নিয়ে মহাসাগরের ঢেউয়ে একাকার;
নিষ্ঠুর যাতাকলের দোযখের করবে- ‘কবরবাসী’।
20.03.2016