ভালবাসার পাত্রে প্রিয়সীর চোখ,
সর্বদা ভালো লাগে ।
কামদেহ উৎকন্ঠার ছল,
বিলাস বরণে পঞ্চেন্দ্রিয় জাগে ।

অবাক নয়; ব্যাকুলে চেয়ে থাকা,
আপ্লুত মনোহারী ভগ্নহৃদে ঢাকা
কামরস দাহে ভোগায় ।
লাগামহীন ঘোড়া করে তাড়া,
অবুঝের স্বভাব নিয়ন্ত্রণ হারা
ঈর্ষান্বিত রাগিনীর উগ্রতায় ।

প্রেতাত্মা যতই যাকুনি মারে,
ঝরো ঝরো চোরাবালি লুকিয়ে পড়ে-
তপ্ত প্রাণের হিংস্র-বল ।
বিমর্ষ বিরজের গোধূলি পাড়ি,
ক্লান্তদেহে দূর্বলতা ছাড়ি
চেতন হিয়ে সঞ্চার ঘটে ।
নির্মল প্রাণে আবিরের ছাউনী,
নিমন্ত্রনে জাগে নম্ন-প্রবণি;
গুজবে রটন ফুলে-ফলে ভরে-
খোলা অঙ্গের পূজ্য তটে ।

গা জিরিয়ে নোংরা বচন,
উন্নতি সিঁড়ি কদাচিৎ রচন
ঠিকাদারি চুক্তি তেমনি হলো ।
ছুটাছুটির ফল, মর্যাদায় স্থান
অন্যের ঘায়েলে পরিস্থিতির টান
যমদূত বুঝি মর্ত্তে এলো ।

দুধ বিনে ঝরে অকাল শিশু,
ফন্দির ফাদে; দায়-ভার বিষ্ণু
হয়তবা কিছু সিদ্ধি পেলো ।
বাহনার ছলে বাগ্মিতা চলে,
ছলে-বলে-কলা-কৌশলে
গৃহহারাব বনবাসী ঠাঁইহীন হলো ।

অবশেষে......................
ধিক্কার জাগে, ভালোর কাল না-কি নাই,
দোহালের গাই নেই বলে ।
আল্লা’র ষাঁড় ছেড়ে দিয়ে সঁপে,
কে দেখে; কার কীবা হলে ?

16.03.2017