পরের কর্তৃত্ব আপন রাজত্বে বিলিন হলে,
মনোপুত সম্ভাবনা ক্ষয়ে ক্ষয়ে জ্বলে-
দ্বারস্থে স্থায়িত্ব; বিলুপ্তে ঠুকায়।
আত্মবিলাপ হামাগুড়ি মারে,
নিষ্ঠুরতা ছোবল; ছাড়ে কী তারে-
“যার শিল, তারি নোড়া
তারি ভাঙ্গে দাঁতের গোড়া।
যার সৃজন তারে পিষতে চায়।
যারে নেড়ে-চেড়ে খাও যত,
তার গুনগান গাও বা কত?
কার হুকুমের গোলাম তুমি-
কারে ডেকে যাও।
ডাক-হাকেতে মহব্বত বাড়ে,
মনো-কুটিলতা, জবানে জড়তা সাড়ে
বান্দির (গৃহিনী) পাও ধরি, আত্মকর্ম হাসিল করি
যা বল; বেশ পারো-
আর মক ফাও ফাও।
নিশ্চিন্তে নাকে খড় দিয়ে ঘুমিয়ে পড়,
যা বুঝ ভালো; তাই কর-
আসলটাই বাদ দাও।
বললে কভু এড়িয়ে ঝরো,
বাঁকা চলনের আঁচল ধরো-
ধান শুকানো মাড়ার গরু-
যত পার দাও পাও।
কে জলে ডুবলো, কে পুড়ে ক্ষয়
মায়া জাগরনে আছে কার ভয়
কেবা শীতার্ত চাদরে তারে আদরে মোড়ায়।
তার বিনাশে কার কী ক্ষতি,
স্বার্থ পূজারী মিছে জ্বলে জ্যোতি
স্বার্থই পূজে যায়।