হঠাৎ মাথা ঘুরে আঁখির দু’গৃহে দুয়ার মেলে,
উত্তাল হাওয়া বেরিয়ে পড়ে দূর্বলতার কালোমেঘে;
ভাবের সন্যাসী ভাবিয়ে তোলে কী দেখলাম !
ঔই দূর নীলিমায়- পাক মারে শকুনের দল,
শিকারের সন্ধানে হিংস্র মানব, বিধবে নিরহ প্রাণে।
হয়তবা ঘটেই যাবে- ‘চোরে চুরী করে, সাধুর বন্ধিদশা’।
সেই বিষখেকো আঁখি-যুগল, তীক্ষ্ম নজরে চাহে,
থমকে কলিজা ছাৎ করে উঠে, জটরে ধরা মাতৃ-বক্ষ পিঞ্জরে।
এইবুঝি, নাড়ি ছেড়া ধন, আপন দৃষ্টির আড়ালে হারিয়ে যাবে,
নিষ্ঠুর হিয়ার ছোবলে- এতদিনে মায়া-মহব্বত ছিন্ন করে;
ছোট্য গৃহের মাটি চাপায়-ঘুমিয়ে যাবে পিছু ফিরে তাকার বাদে।
অনুভূতির নিঃসঙ্গ বায়ূ আবার কড়া নাড়ে,
হঠাৎ চমকিত হই; এই বুঝি- চাহিদার যাতাকলে ক্ষুধা নিবারণের আঘাত এলো,
অসহায় হলো শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে।
তবুও কেন জানি?
চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকা।
হয়তবা এদিক-সেদিক লুকিয়ে ফেরা,
জীবন হারা প্রদীপের মত হাত-পা নেড়ে মৃত্যুকে আঙ্গিগন করা।
তবুও বোবার মুখে এক ছ’টা শব্দ এলো না,
নিঃশব্দ যন্ত্র-মানব বিকল হয়েই পড়েই থাকল।
কখনও বা নাটকের মঞ্চে স্ব-প্রতীমা জাহির করা,
আপনায় প্রতিচ্ছায়া দেখে,
আপন ছলে আপনারে ধিক্কার দিতে শেখা
হয়তবা এই আমি আমার মতো নই।
অন্য মনোষ্কামে দানবরূপী বিপুড় তাড়নে আত্ম-অহমিকা কড়া নাড়ে,
‘ধিক্কার নিরুপায় প্রতিচ্ছায়া’।