ওহে গ্রাম্য রমনী
তোমার চলন দেখে কন্ঠে জাগে-
গ্রাম্য গীতিকবির কথায়;
স্মরণ হয়- ‘হস্তানী কদু মনি, হস্তির মত চলে,
এক ঘরে আন্ধে-বাড়ে পঞ্চ ঘরে ধোঁয়া।
মহিলা মানষের নাই দাড়ি,
কথা বেড়ায় বাড়ি বাড়ি,
ঘরের কথা নাই কই পড়ক,
পরক কইলে হবে সাত ঘর’।
নদীর পানি ঘোলা ভাল
জাতের মেয়ে কালো ।
সকাল বেলার শিশির তুমি,
নিশি ক্ষণের আলো ।
সংসারে অশান্তির মূলে যার পদচারণা,
তারি হস্তে সুখে চাবি, ঘরের লক্ষ্মী হয়ে দেবতারে আলিঙ্গন সদা জাগরণের প্রতিমা-
কখনও বা স্বামী ভোলানো কাজে দেখিয়ে
শান্ত কর; তুমি যেন কাজের বুড়ি ।
কখনও বা চোখের দেখা ভূল হয় যখন বিশ্বাসের গলে শিকল পড়ে ঘুরে বেড়াও পাড়ায় পাড়ায়;
এই যেন চিরতরের স্বভাবজাত অভ্যাস।