.
কবি সিদ্দিক আহমদ 1976 সালে 1লা
ফেব্রুয়ারী সিলেট জেলার জকিগঞ্জ
উপজেলার 1নং বারহাল ইউনিয়নের
8নং ওয়ার্ডে নিজ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত
মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
.
এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থসমূহ
মনে পড়ে (2015)
যাচ্ছে দিন (2015)
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা (2015)
তিনটি কাব্যগ্রন্থের কবিতা-ই চমত্কার।
.
"কালের কল্লোল" গ্রন্থে মোহাম্মদ
মনিরুজ্জামান পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের
কবিতা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেছেন,
.
"দুর্ভাগ্যজনক হলেও একথা সত্য যে,
আমাদের দেশের কোটি কোটি মানুষের
জীবন ব্যক্তি সমাজ ও দেশের প্রক্ষিতে তাৎপর্যহীন। আমাদের সমাজ সাধারণ
ভাবে প্রতিভা বিকাশের অনুকূল নয়।
আমাদের সামাজিক,
অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক,
পরিবেশ বরং মেধা ও প্রতিভা
বিনাশে তৎপর।"
.
শত ব্যস্ততা ও প্রতিকূলতার মধ্যে ও কবি
সিদ্দিক আহমদ এর প্রতিভা কিঞ্চিৎ বিনাশ হয়নি।
.
আজকাল প্রকাশকগণ কবিতা
প্রকাশে বিমুখ। তবুও দমে যাননি কবি।
.
কবি নিজ উদ্যোগেই তার প্রতিভার
স্বাক্ষর রেখে চলেছেন গ্রামে-গঞ্জে, শহরে।
.
"প্রতিভাবানদের আবিষ্কৃত জিনিস
কখনো মূল্যহীন হয় না।-কুপ"
এ যেমন সত্য তেমনি কবির কাব্য-প্রতিভার
ফল তার গ্রন্থসমূহ কখনো বিফলে যাবে না।
কবির যে ধর্মের প্রতি প্রবল টান তার
"স্বপ্নের ফেরিওয়ালা" কাব্যগ্রন্থে
"আল্লাহু আল্লাহু" কবিতা পড়লেই অনুধাবন করা যায়।
কবি শেষে লিখেছেনঃ
.
~~আল্লাহ্র নামে জীবন করো বিসর্জন,
~~অর্জন হবে পুলসিরাতের মূলধন।
.
কবি সিদ্দিক আহমদ এর "যাচ্ছে দিন"
কাব্যগ্রন্থে শ্রদ্ধেয় কবি কালাম আজাদ
অর্থবহ সুন্দর বাণী দিয়েছেন।
.
সেখানে কবি সিদ্দিক আহমদকে
তিনি "স্বভাব কবি" পদবীতে ভূষিত
করে কবির কাব্য-সাধনার সাফল্য
কামনা করেছেন।
.
কবির দেশপ্রেম পাঠকদের মুগ্ধ
করার মতো।
"যাচ্ছে দিন" গ্রন্থে "বাংলাদেশ" কবিতায়
কবি এঁকেছেন আবহমান বাংলার ছবি।
কবি একাত্তরের চেতনা আকঁড়ে ধরে
দ্বীপ্ত কন্ঠে বলেছেনঃ
.
~~ বাংলাদেশ তুমি লাল সবুজের
~~~~~সবুজে ঘেরা জমিন,
~~তোমার পরশে অনায়াসে জীবন
~~~~~ করতে পারি বিলীন।
.
কবি সিদ্দিক আহমদ এর "মনে পড়ে"
গ্রন্থে "তোমার নামে " কবিতায়
কবি বিরহ ফুটিয়ে তুলেছেন।
.
তেমনি "মে দিবস" কবিতায়
কুলি-মজুরের জন্যে কবির বেদনার
অন্ত নেই।
কবি লিখেছেনঃ
.
~~ আজও শ্রমিক মরে অনাদরে
~~~~দেয়নি কেউ শ্রমের দাম,
~~শ্রমিকের ঘামে অর্জিত নামে
~~~~ বাহবা নেয়াই কাম।
.
.
পরিশেষে সকলের কাছে কবির
কাব্য-প্রতিভার সাফল্য
কামনা করছি।
.
25/08/2015
রাত- 03:34 মিনিট
শুভেচ্ছান্তেঃ
ফজলুর রহমান বকুল