স্বাধীনতার নামে যা পেলাম,
তার মানে কী?
লাল-সবুজে মোড়া বিজয়ের গান,
অথচ বুক ভরা ক্ষত,
চোখ ভরা অভিমান।
স্বাধীনতার তেপ্পান্ন বছর পেরিয়ে ,
তবু ন্যায় নেই,
আলো নেই অন্ধকারে।
বিডিআরের রক্তাক্ত গলি,
সেই শহিদদের কান্না শুনি—
তারা তো বিচার চায়,
কিন্তু বিচারালয় পাথর!
রাম্পুরার রক্তাক্ত সেতুতে
লাশ কাঁধে তুলে নেয়া সে তরুণ,
স্বপ্ন দেখেছিলো ইনসাফের,
কোথায় সেই ন্যায়ের আলো?
জ্বলে উঠেনি তা আজও।
৭১-এর স্লোগান—
স্বাধীনতা!
২৪-এর লড়াই—
ইনসাফ!
কিন্তু স্বাধীনতার খোঁজে যে প্রাণ দিল,
তাদের বুকে আজও একটাই শূন্যতা।
ফেলানীরা ঝুলে থাকে সীমান্তে,
কাঁটাতারে আটকানো ন্যায়।
৭১ আর ২৪,
শহিদদের কাছে ঋণী আমরা।
যুদ্ধ করেছে, রক্ত দিয়েছে,
আমরা কি তাদের যোগ্য?
আজকের এই বিজয় দিবস কি সত্যি জয়?
স্বাস্থ্য, বিচার, শিক্ষা—
সবই যেন পুঁজিবাদী কারাগারে বন্দি।
প্রবাসী ভাইদের রক্ত ঘামে ভেজা নোট
লুকিয়ে রাখে দুর্নীতির বিষবৃক্ষ।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া দুর্নীতির বিষণ্ণ পদক,
ঢাকার বিষাক্ত বাতাসে গিলে খায় জীবন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী তরুণ্যরা,
যারা কাগজে লিখেছে নতুন সূর্যের গান,
তারাও আজ ক্ষমতার মোহে বিভোর।
রাজনীতি দাবার গুটি করে রেখেছে সবাইকে।
আমরা স্বাধীন, নাকি বৃত্তের ভেতর বন্দী?
এই বিজয় উৎসব,
শুধুই কি ভণ্ডামির আরেক নাম?
৭১-এর আর ২৪-এর রক্তের সামনে,
আজ মাফ চাইতে হবে।
আমরা তো তাদের স্বপ্নের দেশ বানাতে পারিনি।
তবু একদিন ন্যায় আসবে,
এই বিশ্বাসে লিখি—
ইনসাফের জন্য আমাদের লড়াই থামেনি,
থামবেও না।
ইনসাফের অন্বেষণ - মোহাম্মদ শেখ শাহিনুর রহমান।
#কাব্য