জীবনের পাঠ চুকিয়ে,
আছিয়া তো চলে গেল,
আমাদের জন্য রেখে গেল—
এক আকাশ সমান ঘৃণা!
একটা শিশুর জন্যও
আমরা গড়তে পারলাম না
একটা নিরাপদ সমাজ!
লজ্জা! লজ্জা!
আকাশের তারা জ্বলজ্বল করেও
তাকে আলো দিতে পারল না,
নদীর স্রোত বহমান থেকেও
তাকে বাঁচাতে পারল না।
মানুষের ভিড়ে থেকেও
সে একা, বড় একা—
এ কেমন সমাজ গড়লাম আমরা?
আমরা সভ্যতার গান গাই,
পোশাকে ঢেকে রাখি হৃদয়ের কালিমা,
বিচারের নামে দেখি কোলাহল,
কিন্তু ন্যায়ের জন্য
নেই কোনো আহ্বান!
আছিয়া তো চলে গেল,
কিন্তু রেখে গেল প্রশ্ন—
আমরা কবে মানুষ হবো?
কবে শিশুরা হাসবে নির্ভয়ে?
কবে এই সমাজ হবে সত্যিকারের মানবিক?
লজ্জা! লজ্জা!
আমরা সবাই অপরাধী—
কারণ আমরা চুপ থেকেছি,
কারণ আমরা কিছুই করিনি!
আছিয়া, তোর জন্য ক্ষমা চাই...
কিন্তু এই ক্ষমা কি তোর ফিরে আসার পথে আলো হতে পারে?
তুই চলে গেছিস,
আর রেখে গেছিস আমাদের জন্য—
একটা পোড়া সমাজ,
একটা অভিশপ্ত বিবেক!